বাংলা সাহিত্যে আদি নিদর্শন চর্যাপদ কিসের সংকলন বা চর্যাপদে কি রয়েছে তা নিয়ে আজ আলোচনা করব।
চর্যাপদ আবিষ্কার করা হয় ১৯০৭ সালে। সেই সময় থেকেই এটি নিয়ে ব্যপক গবেষণা চলমান রয়েছে।
কেউ বলে চর্যাপদ কবিতার বই. কেউ বলে যে চর্যাপদ গানের বই আবার কেউ বলে এটি কেবলই একটি পুঁথি।
এজন্য প্রায়শই বিভিন্ন পরিক্ষায় প্রশ্ন আসে যে চর্যাপদে কি রয়েছে বা এটি কিসের সংকলন?
এই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করার চেষ্টা করব।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে চর্যাপদ আসলে কিসের সংকলন?
চর্যাপদ কিসের সংকলন:
চর্যাপদকে একটি কাব্য সংকলন মনে করেন। কাব্য সংকলনে অনেকগুলো রচনা যেমন কবিতা, গান স্থান পায়।
আসলে চর্যাপদ ছিলো বৌদ্ধের রচনা। বৌদ্ধসহজযানপন্থি পন্ডিত কিংবা কবিগণ মিলে চর্যাপদ রচনা করেন।
তাদের উদ্দ্যেশ্য ছিলো বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করা। এজন্য তারা গান হিসেবে এই পদগুলো রচনা করেন।
তাহলে আমরা বলতে পারি যে চর্যাপদ আসলে গানের সংকলন।
তাহলে প্রশ্ন হলো এই চর্যাপদে মোট কতটি গান রয়েছে?
চর্যাপদে মোট ৫১টি গান বা পদ বা কবিতা রয়েছে।
তবে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রশাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে যে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন, সেখানে মোট সারে ৪৬টি পদ পাওয়া যায়।
২৪নং, ২৫নং ও ৪৮নং পদ পাওয়া যায়নি আর ২৩ নং পদের শেষের অংশের দিকে অর্ধেক পাওয়া গেছে।
এই চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ রয়েছে। সেই অনুবাদের সুবাদে চর্যাপদের ৫১টি পদের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যাইহোক, চর্যাপদে মোট ৫১টি গান রয়েছে। আর চর্যাপদকের আমরা গানের বই বলতে পারি। চর্যাপদ একটি গানের সংকলন।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর:
মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা।
বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শর চর্যাপদ গানের সংকলন।
চর্যাপদে মোট ৫১টি গান, কবিতা বা পদ রয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মের (বৌদ্ধ সহজিয়া বা সহজযান পন্থি) কবি বা পন্ডিগণ চর্যাপদের গান রচনা করেন। যাতে করে গানের বা কবিতার আকারে অতি সহজে মানুষের মাঝে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করা যায়।
চর্যাপদে মোট ২৪ জন কবির গান বা কবিতা রয়েছে। তবে আমরা চর্যাপদের যতগুলো পদ পেয়েছি তার পদকর্তা ২৩ জন।
চর্যাপদকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবিতার বই বলা হয়।