বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল। আজকে আমরা আলোচনা করব চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ কে করেছিলেন সেই বিষয়ে।
আমরা জানি যে চর্যাপদ আবিষ্কার হয় ১৯০৭ সালে। আর চর্যাপদ আবিষ্কার করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
তিনি নেপাল থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেছিলেন। বাংলা ভাষার বিভিন্ন পণ্ডিত প্রমাণ করেছেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন।
অর্থাৎ আদিকালের বাংলা ভাষায় রচিত পুঁথি এই চর্যাপদ। কিন্তু এটি বাংলা ভাষার নিদর্শন হলেও এটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়। যেমন চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় কে অনুবাদ করেন?
তাহলে চলুন জেনে আসি যে কে চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ কে করেন?
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
অর্থাৎ কীর্তিচন্দ্র প্রথম চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।
কীর্তিচন্দ্রই যে চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন, সেটি আবিষ্কার করেন প্রবোধচন্দ্র বাগচী।
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র আবিষ্কার করেন যে, কীর্তিচন্দ্র সর্বপ্রথম তিব্বতি ভাষায় চর্যাপদ অনুবাদ করেছিলেন।
তাহলে আমরা বুঝতে পারি যে, চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র এবং কীর্তিচন্দ্র যে চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন সেটি আবিষ্কার বা প্রমান করেন প্রবোধচন্দ্র বাগচী
সুতরাং চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ কে করেন এই প্রশ্নের উত্তরে কীর্তিচন্দ্রের নাম বলতে হবে।
যাইহোক প্রাচীন এই সাহিত্যর অন্য ভাষায় অনুবাদের তথ্য থেকে আমরা বুঝতে পারি যে বাংলা সাহিত্যর প্রাচীন যুগেও অল্প-বিস্তর অনুবাদ কর্ম প্রচলিত ছিলো।
আবার বৌদ্ধ ধর্মের প্রবল জনপ্রিয়তা তিব্বতে তখনো ছিলো এটাও আমরা অনুমান করতে পারি।
কিছু প্রশ্ন-উত্তর:
তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদক ছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
কীর্তিচন্দ্রের সাথে চর্যাপদের সম্পর্ক রয়েছে কারণ চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন এই কীর্তিচন্দ্র।
প্রবোধচন্দ্র বাগচী সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন যে কীর্তিচন্দ্র চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদক ছিলেন।
কীর্তিচন্দ্রই যে চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন সেটা প্রবোধচন্দ্র ১৯৩৮ সালে আবিষ্কার করেন।