মনোবিজ্ঞানে শিক্ষণ এর মৌলিক নীতি বা Basic principles of learning

আজকে আমরা শিক্ষণ বা Learning এর মৌলিক নীতি বা Basic principles of learning নিয়ে আলোচনা করবো।

তুমি যেভাবে আচরণ করতে শিখেছো তুমি অনেকাংশেই সেভাবেই আচরণ করে থাকো। কল্পনা কর যে তুমি পৃথিবীর এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি পরিবার দ্বারা একটি শিশু হিসাবে পালিত হয়েছো।

তুমি একটি ভিন্ন ভাষা বলতে পার, বিভিন্ন খাবার খাও এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যযুক্ত এমন পদ্ধতিতে কাজ করে থাকো।

তোমার শেখার অভিজ্ঞতাগুলি আলাদা হওয়ার কারণে তুমি এই সম্পূর্ণ আলাদা ব্যক্তিত্ব ধরণের ব্যক্তি হয়ে যাবে- ঠিক উপজাতিদের মতো।

তাহলে দেখা যায় আমাদের শিক্ষণের সাথে আচরণে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

Definition of Learning: (শিক্ষণ এর সংজ্ঞা):

আমাদের চিন্তু ভাবনা গুলো কি করে আমাদের কোনো কিছু শেখায় এই সংক্রান্ত একটি অধ্যায় হলো শিক্ষণ বা Learning.

যেকোনো শিক্ষাই আমরা একটি নিদির্ষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করে থাকি।

আমাদের পুরো শরীলটা হলো একটি মেশিন। এখানে আমাদের চিন্তুা, অনুভূতি, আবেগ একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

বায়োলোজিক্যাল মেকানিজম যেমন আমাদের শরীরে কাজ করে তেমনি সাইকোলোজিক্যাল ম্যাকানিজমও শরীলকে প্রভাবিত করে।

এই দুই এর যখন মিশ্রণ ঘটে তখন আমরা শিখতে চাই বা শিখি।

আমরা নানা রকম পর্যায় বা অবস্থার মধ্য দিয়ে শিখি। মনোবিজ্ঞান অনুসারে আমরা যা কিছু শিখি তা একটি নীতিকে (principle) মেনে চলে। এই শিক্ষণ বা Learning নীতির সাথে ২টি শর্ত যুক্ত রয়েছে।

  • ক্লাসিক্যাল শর্ত (classical conditioning)
  • অপারেন্ট শর্ত (operant conditioning)

এ ২টা শর্ত আমাদের মেকানিজমকে ডেভেলপ করে এবং এর মধ্যে দিয়ে আমরা শিখি। যেমন প্রতিদিন আমরা নানা রকম শিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাই।

এই শিক্ষণ সমূহ আমরা দুই ভাবে করে থাকিঃ
১) classical conditioning;
২) operant  conditioning)

Classical Conditioning: Learning by Association( সংযোগ এর মাধ্যমে শিক্ষণ):

ইভান প্যাভলব ছিলেন রাশিয়ার জীববিজ্ঞানী – যিনি ডাইজেশন বা হজম বিষয়ে গবেষণার জন্য ১ম এর উপর নোবেল পান। তিনি খাদ্য হজম করার প্রক্রিয়া সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন।

ইভান প্যাভলব এই খাদ্য হজমের উপর একটি পরিক্ষা চালিয়েছিলেন! এই পরিক্ষাটি করেছিলেন একটি কুকুরের উপর।

এই পরিক্ষায় তিনি কুকুরটির গলার কন্ঠনালী অপারেশন করে তার সাথে একটি পাইপ যুক্ত করে দিয়েছিলেন। এরপরে কুুকুরটি close control situation এ রাখা হয়েছিলো।

এরপরে ইভান প্যাভলব তার পরিক্ষার অংশ হিসেবে ঘন্টা বাজালেন এবং কুকুরটির মধ্যে কোনো প্রকার কোনো পরিবর্তন দেখতে পেলেন না।

এভাবে তিনি অনেকবার ঘন্টা বাজালেন কিন্তু; কুকুরটি মধ্যে কোনো ধরণের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখতে পেলেননা।

এরপরে বিজ্ঞানী ইভান প্যাভলব তার পরিক্ষায় আবার ঘন্টা বাজালেন এবং সাথে সাথে কুকুরকে খাবার দিলেন এবং কুকুর খাবার খেলো।

এরপরে তিনি আবার ঘন্টা বাজালেন এবং দেখলেন যে অল্প অল্প করে কুকুরে লালা ঝরছে। কারণ কুকুরটি মনে করেছিলো যে ঘন্টা বাজানোর সাথে সাথে খাবার আসবে।

এভাবে কয়েক বার ঘন্টা বাজানো হলো এবং খাবার দেয়া হলো আবার ঘন্টা বাজানো হলো এবং কুকুরকে খাবার দেয়া হলো।

এরপরে ঘন্টা বাজানো হলো এবং খাবার একটু দেরি করে দেয়া হলো। যেমন ২ মিনিট পরে খাবার দেয়া হলো, তখন দেখা গেলো যে কুকুরটির প্রচুর লালা ঝরছে।

সাইকোলোজির সকল পোষ্ট

এই পর্যায়ে বিজ্ঞানী ইভান প্যাভলব পাইপ দিয়ে নিঃসৃত লালার একটি হিসাব/পরিমাপ করা শুরু করলেন।

সেই লালা গুলো একটি টিউবে গিয়ে জমা হচ্ছে! এরফলে বিজ্ঞানী ইভান প্যাভলব বুঝলেন যে খাবার এবং ঘন্টার মধ্যে একটি সংযোগ (association) রয়েছে।

এই সংযোগটি কুকুর বুঝতে পেরেছে! সহজ কথায় কুকুরটি শিখে ফেলেছে যে ঘন্টা বাজালে খাবার দেয়া হবে।

সুতরাং কোনো শিক্ষণের ক্ষেত্রে association খুবই গুরুত্বপূর্ণ! আর শিক্ষণের সাথে association এর যে সম্পর্ক, সেটাকে ইভান প্যাভলব কুকুরের এই ছোট পরিক্ষার মধ্যে দিয়ে বুঝাবার চেষ্টা করেছেন।

আবার, ঘন্টা বাজানো হচ্ছে কিন্তু খাবার না দেয়ার ফলে লালা ঝরছেই। এক সময় লালা কমতে শুরু করছে।

আবারো ঘন্টা বাজানো হচ্ছে, কিন্তু খাবার দেয়া হচ্ছে না, তাই কম কম লালা বেরোচ্ছে।

লালা শুরুতে বেশি ছিলো, কিন্তু যখন খাবার দেয়া হচ্ছে না, তখন কুকুরটি অন্য একটি association করে ফেলেছে।

অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে ঘন্টার সাথে খাবারের কোনো সম্পর্ক নেই।

কুকুরটি ২টি association করে নিয়েছে। একটি হলো ঘন্টা বাজানোর সাথে খাবার দেয়া হয়েছে এটা একটি শিক্ষণ এবং ঘন্টা বাজানো হচ্ছে কিন্তু কোনো খাবার দেয়া হচ্ছে না এটা একটি শিক্ষণ।

আবার লালা নির্গত হওয়ার পরিমান দিয়ে বোঝানো হয়েছে যে উদ্দীপকের সাথে আমরা কি করে নিজেকে associate করে নিই এবং কোন কোন ফ্যাক্টরকে associate করি এবং তার মধ্যে দিয়ে আমরা শিখি।

এই শেখাকেই বলা হয় classical conditioning বা Learning by Association.

Association: The key element in classical conditioning:

ইভান প্যাভলব classical conditioning এর উপর যে পরিক্ষাটি করেছিলেন যেটি ছিলো একটি বৈজ্ঞানিক পরিক্ষা। classical conditioning এ Association খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

যখন কোনো একটি সময়ে কোনো একটি উদ্দীপকের সাথে নিজেকে Associate করে নিবে, তখন তার থেকে সারা পাওয়া যাবে। আবার তুমিও সারা দিবে। এর মধ্য দিয়েই আমরা শিখি।

যেমন ধরো, অনলাইন শপে তুমি একটি সুন্দর পোশাক দেখলে, এবং সেটা কেনার জন্য তোমার ইচ্ছা হলো।

ফলে, তুমি সেটা অর্ডার করলে এবং সেই পোশাক হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছো।

তোমার Response যে বিশেষ একটা পোশাকের উপর হয়েছে এবং এর ফলে তুমি যে ধরণের আচরণ করছো এই ধরণের আচরণকেই বলা হয় associate behavior.

২টি stimulus এর মধ্যে association হচ্ছে খুবই গুরুতত্বপূর্ণ উপাদান। অন্য উপাদানটি হলো Timing of association.

অর্থাৎ শিক্ষণ এর ক্ষেত্রে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সময়ের মধ্য দিয়েই আমাদের শিক্ষণ বা Learning হয়।

খাবার দ্রূত দিলে কুকুরের মধ্যে দিয়ে যে প্রতিক্রিয়া হয় খাবার যদি অনেক পরে দেয়া হয় তাহলে সেই প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় না।

এজন্য খাবার দ্রুত দেয়া খুবই কার্যকারী এবং বেশি বিরতি না দেয়া ভালো।

সহজ কথায় খাবার আগে দেয়া এবং ঘন্টা পরে বাজানো বা ঘন্টা আগে বাজানো এবং খাবার পরে দিলে কোনো Learning বা শিক্ষণ হয় না।

এজন্য জীবনের যেকোনো অভিজ্ঞতা নেওয়ার আগে সময়টাকে গুরুত্ব দেয়া দরকার।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা দুটো জিনিস key element হিসেবে জানতে পারলাম।

  1. Association two stimulus – প্যাভলবের মতে একটি হলো খাবার এবং অন্যটি হলো ঘন্টা।
  2. Timing of the association of two stimulus- ঘন্টার সাথে খাবার দেওয়ার জন্য একটা সময় নিতে হবে। প্যাভলব ১৫ মিনিট নিয়েছেন।

সুতরাং, classical Conditioning এর  key element হিসেবে সময় এবং সংযোগ (time and association) এই ২টি stimulus কে মনে রাখতে হবে।

Definition of classical conditioning:

প্যাভলবের classical conditioning কে বুঝতে হলে আমাদের আরো ৪টি জিনিস জানতে হবে।

  1. Unconditional stimulus (ucs)
  2. Unconditional Response (ucr)
  3. Conditional stimulus (cs)
  4. Conditional response (cr)

1- Unconditional Stimulus:

খাবার এমন একটা Stimulus যেটা শিক্ষণ বা Learning ছাড়াই আমরা রেসপন্স করতে পারি। এটাকে বলা হয় Basic instinct of human life এবং আমাদের জীবনে আমরা কিছু Basic instinct এর অধিকারী হই।

এটাকে শেখার প্রয়োজন হয় না। এটা এমনিতেই উদ্দীপকের সাথে আমরা রেসপন্স করি। যেমন  একটি বাচ্চা জন্মের পরেই খাবার খেতে প্রস্তুত হয়।

2- Unconditional Response:

কোনো প্রকার শিক্ষণ ছাড়াই যদি আমরা কিছুর উপর রেসপন্স করি তাকে বলা হবে- Unconditional Response. এক্ষেত্রে stimulus কে বলা হবে Unconditional Stimulus.

সহজ কথায় খাবার Unconditional Stimulus এবং এর প্রতি আমাদের যে প্রাকৃতিক Response তাকে বলা হবে Unconditional Response.

3- Conditional stimulus:

ঘন্টাকে Conditional stimulus বলা যাবে, কারণ এটি খাবারের সাথে associate করতে পারে। ঘন্টা তখনই Conditional stimulus হবে যদি ঘন্টা বাজানোর সাথে সাথে খাবার দেয়া হয়।

কোনো পেয়ারিং বা দুটি কাজ এক সাথে না হলে Conditional stimulus হবে না। অর্থাৎ ঘন্টা হলো উদ্দীপক এবং এটাকে খাবারের সাথে associate করা হয়েছে। এজন্য এটাকে বলা হয়েছে Conditional stimulus.

4- Conditional response:

ঘন্টা বাজানোর সাথে সাথে খাবার দেয়া হচ্ছে আর তখন লালা নির্গত হচ্ছে। এটাই হলো Conditional response.

যেকোনো কিছু যখন আমরা খাই, তখন জিহ্বাতে লালা নির্গত হয়। এই লালা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এটা একটা প্রাকৃতিক বিষয়। এটাতে শেখার কিছুই নেই।

কিন্তু এটা আবার Conditional হয়ে যাবে, যদি ঘন্টা বাজার সাথে খাবার দেয়ার বিষয়টি যুক্ত থাকে। তখন এটাকে বলা হবে Conditional response.

Importance of classical Conditioning:

ঘন্টা বাজাচ্ছে কিন্তু কুকুরের লালা নির্গত হচ্ছে না। কিন্তু খাবার দেয়া শুরু করার পরে লালা ঝড়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়।

তারপরে ঘন্টা বাজানো হচ্ছে কিন্তু খাবার দেয়া হচ্ছে না, তবুও কুকুরের লালা নির্গত হচ্ছে। এটাকে বলা হবে Conditioned stimulus to conditioned response.

সুতরাং বলা যায় classical Conditioning বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষণ বা Learning হলো তাই, যা আমি Unconditioned stimulus এবং Unconditioned response এর মধ্যে দিয়ে Conditioned হয়ে পরি।

অর্থাৎ এটা আমাকেই করতেই হয়- তখন এটাকে লার্নিং বা শিক্ষণ বলা হয়। সহজ কথায় শিক্ষণ তখনই হয়, যখন আমারা conditioned হয়ে পরি।

Positive reinforcement:

মনে করো, কারো সাথে তোমার ঝগড়া হলো তারপরে তুমি ভাবলে, তুমি তাকে ক্ষমা করে দেবে। কোনো ব্যক্তিকে ক্ষমা করছো তা নয়- বরং তুমি নিজেকে ক্ষমা করছো- এটা হলো Positive reinforcement.

আবার মনে করো, ক্লাসে শিক্ষক এসে তোমাকে একটি বিষয়ের উপর প্রেজেন্টেশন দিতে বললেন। তুমি ৫মিনিট প্রেজেন্টেশন দিলে।

কিন্তু, শিক্ষক তোমার প্রেজেন্টেশনের প্রশংসা করলেন না, বরং বললেন- এটা কোনো প্রেজেন্টেশনই হয়নি, তুমি পারো না।

শিক্ষক  তোমাকে নেগেটিভ ধরণের কথা বলার কারণে, তোমার আচরণের মধ্যে একটি পরিবর্তন ঘটবে।

কিন্তু, শিক্ষক যদি বলতেন যে, তোমার প্রেজেন্টেশনের এই অংশ ভালো হয়েছে এবং অন্য অংশ গুলোতে একটু ভালো করতে হবে- তাহলে এই কথা শোনার সাথে সাথে তোমার মধ্যে Positive reinforcement চলে আসতো।

প্রকৃতপক্ষে মানুষ কখনো Positive reinforcement ছাড়া অন্য কোনো কিছু গ্রহণ করে না।

যদি Negative reinforcement দেয়া হয় তাহলে রিয়েক্ট করে এবং তা এড়িয়ে চলে।

Primary and secondary reinforcement:

Primary reinforcement হলো সহজাত (innate). এই Primary reinforcement কে আমরা শিক্ষণের মধ্যে দিয়ে অর্জন করতে পারি না।

যেমন- পানি পান করা, গরম লাগা ইত্যাদি।

আমাদের শিক্ষণের ক্ষেত্রে secondary reinforcement খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি প্যাভলবের কুকুরের পরিক্ষা লক্ষ্য করি, দেখা যাবে, ঘন্টা বাজানো হচ্ছে, সাথে খাবার দেয়া হচ্ছে, ফলে লালা নির্গত হচ্ছে।

এখানে ঘন্টা টি কুকুরের কাছে reinforcement হিসেবে দাড়াচ্ছে। 

ঘন্টা বাজালে তখনই খাবার দেয়া হচ্ছে- ফলে ঘন্টা কখনো Primary reinforcement নয়। এই ঘন্টার মতো যে বিষয়গুলো রয়েছে- তাকে বলা হবে secondary reinforcement.

অনেক সময় আমরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে নানান ভাবে সম্বোধন করে থাকি। এটা secondary বিষয়। এতে লোকটি খুসি হয়।

আবার অনেকে টাকা, কিংবা কোনো কিছু উপহার পেলে খুশি হয়। আবার অনেক লোকের সামনে জোড়ে জোড়ে ভালো কিছু বললে সবাই হাত তালি দেয়।

এগুলো সবই secondary reinforcement. secondary reinforcement কোনো না কোনো ভাবে Primary reinforcement এর সাথে যুক্ত থাকে।

যেমন আমরা সব সময় সুখে থাকতে চাই, আর আমাদের সুখে থাকতে চাওয়াটা সহজাত, যা কিনা Primary reinforcement এর দিক ইঙ্গিত করে।

Schedules of positive reinforcement:

positive reinforcement এর মোট ৪টি Schedules রয়েছে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে এই ৪টি Schedules  হলো:

১। Fixed ratio:

ক্লাসে শিক্ষক Reinforce হিসেবে যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর চান এবং একটি বিশেষ সংখ্যাক শিক্ষার্থী যদি এতে সারা প্রদান করে- এবং এখানে যে পরিমান রেসপন্স পাওয়া যাবে সেটাই হবে Fixed ratio.

যেমন দেশের সরকার যদি একটি আইন তৈরি করতে চায় তখন জনমত যাচাইয়ের জন্য এটা পত্রিকায় ছাপানো হয়।

যাতে সরকার জানতে পরে যে- এই আইন সম্পর্কে দেশের মানুষ জানার পরে, তাদের রেসপন্স কেমন হয়।

যদি দেখা যায় রেসপন্স ভালো তখন আইনকে পাশ করে দেয়া হয়। ফলে ব্যাপক সংখ্যাক লোক উপকৃত হয়।

আর এই উপকৃত হওয়ার মধ্যে দিয়ে এক ধরণের শিক্ষণ বা Learning হয় এটাকে বলা হয় Fixed ratio.

২।  Variable ratio:

কোনো কিছুতে আমরা নিজেদের যুক্ত করতে চাই। আর Variable ratio develop হওয়ার কারণে আমাদের আচরণের মধ্যে পরিবর্তন ঘটে।

এটার সাথে Fixed ratio এর পার্থক্য হলো আমরা Fixed ratio তে satisfied response পেতে চাই।

আর Variable ratio তে দেখা যায় একটা কিছু করার পরে, এটার ফিডব্যাক ভালো, তাহলে এটা আমি আবার করবো।

যেমন তুমি বললে যে, তুমি গত বছর gambling করে অনেক টাকা আয় করেছো। আরো চিন্তা করলে যে, এর পরেরটা করলে হয়তো আরো টাকা আয় করতে পারতে।

এখানে gambling এ জেতার Variable হিসেবে কাজ করছে, তোমার আগের জেতা। ফলে এই Variable ratio, positive reinforcement এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩। Fixed interval:

যেকোনো একটা feedback দেয়ার পরে; তার মাঝখানে নিশ্চয় একটা সময় থাকবে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের ১মাস পর পর বেতন দেয়া হয়।

মাঝখানে একটি বিরতি থাকে। মাঝখানের এই interval এর কারণে আমরা reinforcement  এর ঢুকতে চাই।

যদি এই Fixed interval না থাকতো, তাহলে অনেক কঠিন হতো। Fixed interval এর আমরা লার্ণ করি এবং Unfixed interval এ আমরা লার্ণ করি না।

৪। Variable interval:

তুমি যদি কোনো বাচ্চাকে বলো যে, এই পড়া শেষ করলে, তোমাকে চকলেট দিব। আবার আরেক দিন, বাচ্চাটাকে একই কথা বলা হলে।

আবার আরেক দিনও একই কথা বলা হলে- বাচ্চাটার চকলেটের প্রতি আর তেমন আগ্রহ কাজ করবে না।

কিন্তু বাচ্চাকে বিভিন্ন দিন বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভ্যারাইটি তৈরি করলে বাচ্চার আগ্রহ বাড়বে। এগুলোই হলো variety of interval.

Negative reinforcement:

যে Consequence গুলো ঘটতে পারে, বা ঘটার সম্ভাবণা আছে, এবং যেগুলো negative ও ভবিষতে ঘটতে পারে সেগুলো থেকে আমরা নিজেকে সরিয়ে নিতে চাই।

Negative reinforcement এর ক্ষেত্রে আমরা ২টি ধরণ পাই।
যেমন:
1) Escape conditioning
2) Avoidance conditioning.

ছোট বেলায় তুমি যখন অন্যায় করেছো, তখন তোমার মা তোমাকে ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ করে ৫ মিনিট থাকতে বলেছে।

কিন্তু তুমি এতে রাগ করে তোমার মাকে বলতে থাকো যে- তুমি আমাকে ভালোবাসোনা, এটা করতে দাও না, ওটা করতে দাও না।

তোমার এই ধরণের Negative কথা শুনে তোমার মা দরজা খুলে দেয়। কারণ তুমি অনেক Negative reinforcement তৈরি করে ফেলেছো।

এরপরে তোমার মা বুঝিয়ে দিলো যে বিষয় টা এমন নয় ওমন।

এরপর্বর্তী সময়ে তোমাকে, যদি আবার confine করা হয়, অন্য কোনো কারণে তখন তুমি ওই আচরণ আর করবে না, যেটা আগে করেছো অথবা হয়তো করতেও পারো।

যেটাই করো না কেনো- দুুদিক থেকেই শিক্ষণ হবে। কখনো Negative reinforcement আমাদের শেখায় ও কখনো ভয় আমাদের যেমন ক্ষতি করতে পারে, তেমনি ভালোও করতে পারে।

যেমন আগুন, সাপ এদেরকে ভয় খারাপ না- বরং ভয় পেয়ে দুরে থাকলে আমাদের জীবন রক্ষা হয়।

ফলে এটা positive reinforcement এর সাথেও যায় এবং Negative reinforcement এর সাথেও যায়।

এখন তুমি এটা কিভাবে নিচ্ছ সেটা হলো গুরুত্বপূর্ন বিষয়। যেমন পরিক্ষার ভয় আমাদের শরীলের কোনো ক্ষতি করে না, বরং দুঃশ্চিন্তা থেকে যে ভয় তৈরি হয় সেটা আমাদের শরীলের ক্ষতি করে- এটাই হলো Escape conditioning.

Punishment:

Punishment আরেকটা reinforcement হিসেবে কাজ করে এবং এটাও একটা শিক্ষণ প্রক্রিয়া।

এই প্রক্রিয়াকে মনে করা হয় মানুষের অপরাধ বা ভূল শুদ্ধ করার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ।

ফলে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করে। যাতে সেই ভয়ে মানুষ এক বিশেষ ধরণের আচরণ করে।

যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরণের আইন থাকে।

এই আইন ভঙ্গ করলে শস্তি পেতে হবে বিধায় সবাই সচেতন থাকি।

তখন আমারা এটা করি না, ওটা করি না।

কারণ আইন অমান্য করলে রয়েছে শাস্তি। ফলে আমরা আমাদের আচরণ পাল্টাই।

অর্থাৎ শাস্তির কারণে আচরণে পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে দিয়ে আমাদের এক ধরণের শিক্ষণ বা Learning হয়।

Punishment এমন একটা প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়া এর মধ্যে দিয়ে আমাদের আচরণের পরিবর্তন ঘটে এবং সেই পরিবর্তনই আমরা Learn করি।

নানা রকম ভাবে punishment হতে পারে। যেমন Physical punishment, mental punishment হতে পারে।

  • রেফারেন্স – বই

FAQ

প্রশ্ন: ইভান প্যাভলব কে ছিলেন?

উত্তর: প্যাভলব ছিলেন একজন জীববিজ্ঞানী।

প্রশ্ন: প্যাভলব কোন দেশের বিজ্ঞানী ছিলেন?

উত্তর: রাশিয়ার।

প্রশ্ন: খাদ্য হজম প্রক্রিয়া কে প্রথম আবিষ্কার করেন?

উত্তর: ইভান প্যাভলব।

প্রশ্ন: প্যাভলব কিসের উপর খাদ্য হজমের গবেষণা চালান?

উত্তর: কুকুরের উপর।

Leave a Comment