পড়ার টেবিলে মন বসানোর ১০টি সেরা উপায়

মন বসে না পড়ার টেবিলে, তাই বলে তো পড়াশোনা বন্ধ করে রাখা যাবে না। তাই, পড়ার টেবিলে মন বসানোর ১০টি সেরা উপায় নিয়ে আজ আলোচনা করব।

পড়ার টেবিলে মন বসানোর ১০টি ‍উপায়:

১। পড়াশোনা আপনি নিজের জন্য করতেছেন। এটি সাবার আগে মেনে নিতে হবে। অর্থাৎ পড়াশোনার মাধ্যমে আপনি নিজে উপকৃত হবেন।

এরফলে, আপনি সবার থেকে এগিয়ে যাবেন। আপনি সফল হবেন। অনেক নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানবেন। এগুলো মনে প্রাণে বিশ্বাস করুন।

কারণ- কোনো কাজের ফলাফল না পেলে, সেই কাজের প্রতি কোনো আগ্রহ থাকে না।

তাই লেখাপড়ার প্রয়োজন অনুভব করতে হবে।

২। পরিকল্পনা করুন। আপনি নিজেকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান, তার পরিকল্পনা করুন। কারণ পরিকল্পনা হলো সফলতার অর্ধেক।

ধরুন আপনি এসএসসি পরিক্ষার্থী। তাহলে- আপনাকে এ+ পেতেই হবে। এমন পরিকল্পনা থাকতে হবে।

৩। চিন্তু মুক্ত রাখুন। উপরের গল্প নিশ্চয় পড়েছেন।

এরকম কোনো প্রকার জাগতিক চিন্তা-ভাবনা নিয়ে পড়ার টেবিলে মন বসবে না।

তাই আগে বর্হিজগতের চিন্তার সমাপ্তি ঘটান। যেমন ধরুন- রিলেশন, দেখা করা, কথা বলা, বন্ধুদের সাথে নিয়মিত আড্ডা দেওয়া, নিয়মিত বাইক চালানোর মতো অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

৪। পড়ার ঘরটি হতে হবে আপনার একান্ত ব্যক্তিগত। পড়ার ঘরে যদি- যখন তখন অন্যরা প্রবেশ করে, তবে আপনার মনোযোগ নষ্ট হবে।

৫। পড়ার ঘরটি হতে হবে ঝামেলামুক্ত ও কোলাহলমুক্ত।

যেমন- টিভির শব্দ বা অন্যদের গল্প করার আওয়াজ আপনার রুমে যেনো না আসে।

যেমন, আমার নিজের ‍ক্রিকেট খেলার প্রতি প্রচুর আগ্রহ।

তাই, টিভিতে ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো আলোচনা বা খেলার ইঙ্গিত পেলে, টিভি রুমে চলে আসি।

এভাবে করে, অন্য কোনো শব্দ আপনার কানে আসলে, আপনার মনোযোগ নষ্ট হবে এবং আপনি পড়ার টেবিলে আর বসে থাকতে পারবেন না।

৬। পড়ার টেবিলে বসে জানালা দিয়ে যেনো- কোনো হাট-বাজার রাস্তা বা লোকালয় দেখা না যায়।

এতে করে, আপানার অবচেতন মনে পড়ার টেবিল থেকে উঠে বাহিরে যাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

৭। পড়ার টেবিলে বসে সবুজ প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এতে করে, আপনার মনে ফ্রেসনেস আসবে। আপনি দীর্ঘ সময় পড়ার টেবিলে বসে থাকতে পারবেন।

৮। পড়ার টেবিলের পাশে পানি সহ চকলেট বা হালকা খাবার রাখবেন। যাতে খাবার প্রতি আপনার বাড়তি সময় নষ্ট না হয়।

পড়ার ফাকে একটু হালকা খাবার খেলে বাড়তি এনার্জি পাবেন।

ফলে, পড়ার টেবিলে আপনি দীর্ঘ সময় থাকার আগ্রহ ও এনার্জি পাবেন।

৯। পড়ার টেবিলের সামনে রুটিন রাখবেন। প্রয়োজনীয় সূত্র রাখবেন। ম্যাপ বা মানচিত্র রাখবেন প্রয়োজন হলে।

এছাড়াও, সকল বই হাতের নাগালে রাখবেন। হাতের কাছে সব থাকলে, পড়তে অলসতা আসবে না।

১০। পড়ার টেবিলে বসে ফোন ব্যবহার করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত কাজ ও ফোন ব্যবহার করার জন্য- রুটিনে একটি সময় বরাদ্দ রাখুন।

রুটিনে খেলা-ধূলার সময় বরাদ্দ রাখবেন। মনে রাখবেন- আমরা মানুষ, রোবট নই।

# এতো পড়ে করে কি হবে ?

উত্তর: পড়াশোনা করে কার ক্ষতি হয়েছে, সেটা আগে বলেন। বরং, যারা ভালো পড়াশোনার করেনি, তারা পরবর্তীতে আফসোস করে।
আর বর্তমান যুগের প্রতিযোগীতায় টিকতে হলে, শুধু পড়াশোনা নয়, আরো কিছু রপ্ত করতে হবে। যেমন- ভালো রেজাল্টারের পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা, ড্রাইভিং, স্পিং, লিডিং ইত্যাদি ইত্যাদি।

# পড়াশোনা না করে কি সফল হওয়া যায় না ?

উত্তর: সফলতার বিষয়টি একেক জনের নিকট একেক রকম। আপনি যদি ভিখারি হয়ে থাকেন, তবে দিন শেষে একটু পেটপুরে খাবার পাওয়া বড় সফলতা।
আপনি যদি সেলস ম্যান হন, তবে, ভালো সেল করা আপনার সফলতা। আর যদি শিক্ষার্থী হন, তবে ভালো রেজাল্ট করা আপনার সফলতা।

Leave a Comment