ধর্মীয়, স্থাপত্য সহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যর মতো প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার রাজনৈতিক ইতিহাস বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধ! প্রিয় পাঠ, খ্রিষ্টের জন্মেরও ৫ হাজার বছর আগে গড়ে ওঠে মিশরীয় সভ্যতা।
তাছাড়া বিশ্বে নদী মাতৃক যে কয়েকটি সভ্যতা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় সভ্যতা হলো প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা।
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার রাজনৈতিক ইতিহাস কে মোট ৬টি পর্বে বিভক্ত করা যায়। এগুলো হলো:
১। আর্কেইক
২। পুরাতন রাজ্য
৩। প্রথম মধ্যবর্তী শাসন
৪। মধ্যবর্তী রাজ্য
৫। দ্বিতীয় মধ্যবর্তী শাসনকাল
৬। নয়া রাজ্য
তবে মিশরীয় সভ্যতার রাজনৈতিক ইতিহাস কে দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত করে আলোচনা করা যায়।
যথা প্রাক রাজবংশীয় যুগ (৫০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৩২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এবং রাজবংশীয় যুগ (৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৩২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।
মিশরীয় সভ্যতার রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রাক রাজবংশীয় যুগ:
৫০০০ খ্রিষ্ট পূর্ব থেকে ৩২০০ খ্রিস্টপূর্ব রাজবংশীয় যুগ ধরা হয়। প্রথম দিকে মিশর প্রায় ৪০টি ”নোম” বা রাজ্যে বিভক্ত ছিল।
কয়েকটি গ্রাম নিয়ে এক একটি নোম গঠিত হতো। নোমগুলো পরস্পর স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিক প্রয়োজনে, অন্যান্য নোমের সাথে এক অন্যর পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল।
কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার প্রয়োজনে বিচ্ছিন্ন নোমগুলো একত্রিত হয় 5000 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে কাছাকাছি কোনো এক সময়ে, সম্ভবত উচ্চ মিশর (দক্ষিণ দিকে) এবং নিম্ন মিশর (উত্তর দিকে) নামে দুটি রাজ্যের সৃষ্টি হয়।
খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০০ অব্দে উচ্চ মিশর ও নিম্ন মিশরকে একত্রী করন করা হয় এবং এই সাম্রাজ্যর রাজধানী ছিলো হেলিয়পলিস।
একীভূত এ মিশর সাম্রাজ্য দীর্ঘ ৮০০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকার পর আবার বিভক্ত হয়ে পড়ে! মিশরের সম্রাটদের বলা হতো ফারাও।
মিশরীয় সভ্যতার রাজনৈতিক ইতিহাসের রাজবংশীয় যুগ:
৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৩২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ সময় পর্যন্ত প্রাচীন মিশরের রাজনৈতিক ইতিহাসের রাজবংশীয় যুগ ধরা হয়! এসময়, মিশর দ্বিতীয় বারের মতো একটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পদ্ধতিতে গঠিত হয়।
উচ্চ মিশরের রাজা মেনেস এর নেতৃত্বে এবার মিশরের উভয় অংশ গঠিত হয়! তিনি রাজবংশীয় যুগের পত্তন করেন বলে তাকে মিশরের প্রথম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে মানব সভ্যতার উৎকর্ষ সাধনে যাদের অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং চিরকাল স্মরনীয় হয়ে থাকবে তাদের মধ্যে মিশরীয়রা অন্যতম।