প্রিয় পাঠক, আপনারা জানেন যে ইতিমধ্যে ৪৬ তম বিসিএস পরিক্ষা ২০২৩ এর সার্কুলার প্রকাশ হয়েছে। আজ আমরা ৪৬ তম বিসিএস এর যোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বয়স , শিক্ষা যোগ্যতা, শারীরিক যোগ্যতা সহ কি বা কোন কোন যোগ্যতা থাকলে আপনি ৪৬ তম বিসিএস পরিক্ষায় আবেদন করতে পারবেন, তা নিয়ে আলোচনা করবো।
৪৬ তম বিসিএস পরিক্ষার জন্য কত বছর বয়স হতে হবে ?
সাধারণত যাদের কোটা নেই বা কোনো বিশেষ সুবিধার আওতায় যারা নেই তাদের বিসিএস পরিক্ষায় আবেদন করার সর্বনিম্ন বয়স ধরা হয় ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ধরা হয়েছে ৩০ বছর।
৪৬ তম বিসিএস পরিক্ষায় আবেদন করার জন্য- মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা অনুরুপ কোটা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়স ২১ বছর থেকে ৩২ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে এই কোটা ছাড়া বা বিশেষ সুবিধা ছাড়া সাধারণ প্রার্থীর বয়সের সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ০২-১১-২০০২, জন্মের সর্বোচ্চ তারিখ হবে ০২-১১-১৯৯৩ সাল ।
আবার ৪৬ তম বিসিএস পরিক্ষায় আবেদন করার জন্য- মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা অনুরুপ কোটা প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রার্থীদের বয়স ২১ বছর থেকে ৩২ বছর হবে।
আর তাদের জন্ম তারিখ হবে সর্বনিম্ন ০২-১১-২০০২ এবং সর্বোচ্চ জন্ম তারিখ হবে ০২-১১-১৯৯১ সাল এর মধ্যে।
অপর দিকে – ৪৬ তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার, ৪৬ তম বিসিএস কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রার্থীর বেলাতে বয়স ২১ বছর থেকে ৩২ বছর হবে।
তাদের বয়স হবে সর্বনিম্ন ০২-১১-২০০২ এবং সর্বোচ্চ জন্ম তারিখ হবে ০২-১১-১৯৯১ সাল এর মধ্যে।
সহজ কথায় সকলের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ধরা হয়েছে ২১ বছর। আর কোটা বা কোনো সুবিধা প্রাপ্তদের বয়স ২১ থেকে ৩২ বছর।
তাহলে আমরা বুঝলাম ৪৬ তম বিসিএস পরিক্ষায় আবেদন করতে হলে উপরে উল্লেখিত এই বয়সের যোগ্যতা বা শর্ত পূরণ করতে হবে।
৪৬ তম বিসিএস এর শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন হতে হবে ?
বিসিএস জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বা পাশের যোগ্যতা হিসেবে সর্বনিম্ন ৪ বছর মেয়াদি অনার্স বা স্নাতক পাশ বা সমমানের পাশ থাকতে হয়।

আর ৪৬ তম বিসিএস পরিক্ষার আবেদন পত্রেও, আবেদনের সর্বনিম্ন যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক বা অনার্স পাশ বা সমমান চাওয়া হয়েছে।
তবে যারা ৩ বছর মেয়াদি ডিগ্রি পাশ কোর্স করেছেন, তাদের মাস্টার্স করা প্রয়োজন হবে।
৪৬ তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারের জন্য যেকোনো বিষয়ের উপর ৪ বছরের ডিগ্রি থাকলেই প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
তবে, যারা ৪৬ তম বিসিএস কারিগরি বা শিক্ষা ক্যাডার, টেকনিক্যাল বা অনুরুপ ক্যাডের পরিক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তাদের অবশ্যই উক্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট বিষয় রিলেটেড সাবজেক্টের উপর ডিগ্রি থাকতে হবে।
তবে, ৪৬ তম BCS পরিক্ষায় আবেদন করতে হলে, কোনো প্রার্থীর শিক্ষা জীবনে ১ বারের বেশি ৩ বিভাগ রেজাল্ট থাকা যাবে না।
৪৬ তম বি সি এস পরিক্ষার জন্য শারীরিক যোগ্যতা সমূহ:
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য শারীরিক যোগ্যতা আবশ্যক। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শারীরক যোগ্যতার শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে আবেদন করার সময়ই, প্রার্থীকে, বিসিএস আবেদন ফরমের নির্দিষ্ট স্থানে বুকের মাপ সহ অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে হবে।
প্রার্থী যখন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন- তখন উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপ, দৃষ্টি শক্তি ইত্যাদি যাচাই করা হবে।
বিসিএস পুলিশ ক্যাডার এবং বিসিএস আনসার ক্যাডারের জন্য পুরুষের উচ্চতা ১৬২.৫৬ সেন্টিমিটার এবং ৫৪.৫৪ কেজি ওজন হতে হবে।
আর মহিলাদের জন্য উচ্চতা ১৫২.৪০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৪৫.৪৫ কেজি হতে হবে।
অন্যদিকে, বাকি সকল ক্যাডারের জন্য পুরুষের উচ্চতা ১৫২.৪০ সেন্টিমিটার এবং ৪৫ কেজি ওজন হতে হবে।
আর মহিলার জন্য উচ্চতা ১৪৭.৩২ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৪০ কেজি হতে হবে।
তবে সকল ক্ষেত্রেই বিসিএস পরিক্ষায় আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
আর বয়স বা অন্য সকল তথ্যর সত্যতার জন্য সকল পরিক্ষার পাশের সনদের বা সকল কাগজের সাথে সকল তথ্যর সামঞ্জস্য বা মিল থাকতে হবে।
কিছু জিজ্ঞাসা:
BCS পরিক্ষার আবেদন করতে সর্বনিম্ন স্নাতক বা সমমান পাশ করতে হবে।
অর্থাৎ যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স পাশ বা সমমানের পাশ থাকতে হবে।
ছেলেদের ১৬২.৫৬ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে।
আর মেয়েদের ১৫২.৪০ সেন্টিমিটার বা ৫ ফুট হতে হবে।
ছেলেদের ৫৪.৫৪ কেজি এবং মেয়েদের ৪৫.৪৫ কেজি।
বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক পরিক্ষা সহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। আর রাষ্ট্রপতি মহোদয় নিজে বিসিএস ক্যাডারদের নিয়োগ দেন।
৯ম গ্রেড। তবে এটি হলো চাকরির শুরুর গ্রেড। আস্তে আস্তে প্রমশন হয়।
এভাবে, বিসিএস ক্যাডারদের অনেকেই সর্বোচ্চ গ্রেড (গ্রেড-১) পর্যন্ত প্রমোশন পান।
৯ গ্রেডে ২২ হাজার টাকা থেকে বেতন শুরু হয়।
এটি ১ম শ্রেণি জবের মধ্যে পরে। গ্রেড ৯ থেকে গ্রেড ১ পর্যন্ত।