আমাদের দেশীয় ফল কতবেল। আজকে আমরা কতবেল খাওয়ার কয়েকটি বিশেষ উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।
কতবেল পরিচিতি:
কতবেল আমাদের সবার অতি পরিচিতিএকটি ফল। আকারে এই ফল ক্রিকেট বলের মতো।
ফলের উপরি ভাগ কাঠের মতো শক্ত আর ভিতরের অংশ নরম। এর গাছের পাতা ছোট ছোট হয়।
গাছ কাষ্ঠল এবং বেশ বড় হয়। অনেকের ধারনা কত বেলে কোনো পুষ্টি নেই।
কিন্তু অন্যান্য ফলের মতোই কত বেলও পুাষ্ট গুণে ভর পুর একটি ফল।
কতবেলে প্রায় পেঁয়ারা ও কাঁঠালের সমান পুষ্টি রয়েছে।
এছাড়া কতবেলে আমিষের পরিমান রয়েছে অনেক।
চলুন একে একে জেনে নেয়া যাক কতবেল খাওয়ার উপকারিতা কি কি।
১। কতবেল খাওয়ার ফলে পেটের রোগে উপকারিতা পাওয়া যায়:
কতবেলে আছে ট্যানিন নামক উপাদান। যা পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া ভালো করে।
এই গাছের বাকল মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে পেটের আমাশয় রোগ ভালাে হয়।
ছোট এলাচ ও মধুর সাথে কাঁচা কতবেল খেলে বদহজম ভালো হয়।
তাছাড়া কতবেল কলেরা ও পাইলসও ভালো করে ।
২। কিডনি ভালো রাখে:
কতবেল মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। ফলে কতবেল খেলে কিডনি ভালো থাকে ।
শুধু তাই নয় কতবেল যকৃৎ ও হৃদপিন্ডও ভালো রাখে।
উল্লেখ্য যে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কিডনীর সমস্যা দূর করার জন্য কতবেল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতেন।
৩। কতবেল রক্ত বৃদ্ধি করেঃ
মিছরির সাথে কতবেল পাউডার মিশিয়ে খেলে দেহে রক্ত বৃদ্ধির পাশাপাশি শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
কতবেল আমাদের দেহের রক্ত পরিস্কারও করে।
রক্তের নিম্নচাপ কমাতে জাদুকরি ভূমিকা রাখে।
৪। কতবেল দিয়ে রুপচর্চা:
মুখে মেছতা বা ব্রণ হলে মধুর সাথে কাঁচা কতবেলর রস মুখে মাখতে হয়।
কতবেল একটি পুষ্টি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় এটি খাওয়ার ফলে ত্বক ভালো থাকে।
৫। পেটের আলসার ভালো করতে পারে কতবেল:
কতবেলের পাতা বেটে ক্বাথ্ব করে পানির সাথে কিছুদিন পান করলে পেটের আলসার ভালো হয়।
এছাড়া কতবেল খেলে আলসারে তৈরি ক্ষত ভালো হয় ।
৬। কতবেল খেলে ডায়াবেটিকস এ উপকারিতা পাওয়া যায়:
কতবেল পাতার নিযার্স খেলে শরিলে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়।
তাই কতবেল পাতাকে ডাইবেটিকস রোধে ব্যবহার করা হয় ।
- আরো পড়ুন-
৭। কতবেল খেলে শ্বাস যন্ত্র ভালো থাকে:
এর পাতার রস শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এর জন্য কতবেল পাতার রস, দুধ ও চিনি মিশিয়ে খেতে হয়।
এই মিশ্রন শিশুদের পেটের ব্যথার দারুন উপকার করে।