সুমেরীয় সভ্যতার বিস্তারিত ইতিহাস সহ ১০ টি বৈশিষ্ট্য জেনে নিন

বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে সুমেরীয় সভ্যতা অন্যতম। আজকে আমরা সুমেরীয় সভ্যতার সকল ইতিহাস, বৈশিষ্ট্য, অবদান সহ বিস্তারিত আলোচনা করবো।

সুমেরীয় সভ্যতা আসলে মেসোপটেমীয় সভ্যতার একটি অধ্যায়। কেননা- মেসোপটেমীয় সভ্যতা- সুমেরীয়, অ্যাসেরীয়, ব্যাবীলন ও ক্যালডীয় মিলে তৈরি।

খ্রিস্টপূর্ব ৪ হাজার অব্দের কাছাকাছি সময়ে দজলা ও ফোরাত নদীর মোহনায় সুমেরীয় নামক জাতী এই সুমেরীয় সভ্যতা তৈরি করে।

সুমেরীয়দের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে, ধারনা করা হয় যে- এশিয়ার কোনো অঞ্চল থেকে সুমেরীয়দের আগমন ঘটে। আর তাদের নাম অনুসারে এলাকাটি সুমেরীয় নামে পরিচিতি লাভ করে।

মানবসভ্যতায় সুমেরীয় সভ্যতার অবদান:

সুমেরীয়রা তাদের সৃজলশীলতা, শ্রম, নিষ্ঠা দিয়ে মানবসভ্যতায় বিশেষ অবদান রাখতে পেরেছিলো। সুমেরীয় সভ্যতার বিস্তারিত ইতিহাস থেকে আমরা তাদের নিম্নলিখিত অবদান সম্পর্কে জানতে পারি:

  1. সমাজ ব্যবস্থা,
  2. অর্থনীতি,
  3. রাজনীতি,
  4. ব্যবসা-বানিজ্য,
  5. কৃষি ও চাষাবাদ,
  6. ধর্মীয় ক্ষেত্রে অবদান,
  7. লিখন পদ্ধতিতে অবদান,
  8. আইন তৈরিতে অবদান,
  9. স্থাপত্য ও শিল্পকর্ম,
  10. ভাস্কর্য ও চিত্রকলা,
  11. বিজ্ঞান ও আবিষ্কারে অবদান।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুমেরীয় সভ্যতার অবিষ্কার ও কর্ম আজো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে তাদের আইন ও লিখন পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিম্নলিখিত আকারে আমরা সুমেরীয় সভ্যতার ইতিহাস বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করতে পারি:

সুমেরীয় সভ্যতার সামাজিক জীবনের ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য:

শ্রেণি বৈষম্য ছিলো প্রাচীন সভ্যতাগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য। সুমেরীয় সভ্যতাতেও এটি বিদ্যমান ছিলো। সুমেরীয় সমাজে ৩ ধরনের শ্রেণি ছিলো:

  1. স্বাধীন অভিজাত শ্রেণি বা “আওএলুম”
  2. সাধারণ মানুষ বা “মুশকেনুম”
  3. দাস শ্রেণির মানুষ বা “ওয়াবদুম”

সম্পদের পরিমানের উপর নিজেদের মর্যাদা নির্ভর করতো। সেই সমাজে রাজাদের ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আর পুরোহিতরাও বিশেষ ক্ষমতা ও মর্যাদা পেতো।

এই রাজা, পুরোহিত, রাজার উচ্চ কর্মচারীগণ, সম্ভান্তরা ১ম শ্রেণি বা অভিজাত শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। তারা সমাজের শিরোমণি ছিলেন আর দাস রাখতে পারতেন।

সাধারণ নাগরিক, কারিগর, উৎপাদক আর কৃষকরা ছিলেন ২য় শ্রেণির মানুষ। এছাড়াও শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী এই শ্রেণির অন্তর্গত ছিলেন।

সুমেরীয় সভ্যতায় সবার নিচের শ্রেণি ছিলো ভূমি দাস ও কৃতদাসরা। নারী ও পুরুষ উভয়কেই কৃতদাস ‍হিসেবে রাখা হতো।

সুমেরীয়দের রাজনৈতিক অবস্থা:

সুমেরীয়রা ছিলো সুসভ্য জাতি। তারা ২০ টির মতো উন্নত নগর গড়ে তোলে। আর এসব নগরে নিরাপত্তা, নেতৃত্ব, কার্যপরিচালনা ইত্যাদির জন্য রাজনৈতিক অবস্থা সৃষ্টি হতে থাকে।

উর, নিবসার, লাগাস, এরেক সহ গুরুত্বপূর্ণ শহরে নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় নেতার সর্বোচ্চ পদের নাম ছিলো “পাতেশি”। এনারা রাষ্ট্রে শাসন, ধর্ম, যুদ্ধ, সেচকাজ ইত্যাদির দেখভাল করতেন।

সুমেরীয় নগররাষ্ট্রের প্রথম রাজা ছিলেন মেসোনিপাড্ডা- যাকে এশিয়ার প্রাচীনতম রাজা হিসেবে মনে করা হতো। সুমেরীয়রা সর্বক্ষণ একে অপরের সাথে যুদ্ধে মেতে থাকত।

তাদের মধ্যে যুদ্ধে যারা হারতো- তাদেরকে দাস বানিয়ে রাখা হতো। এসকল খন্ড নগররাষ্ট্র ২ হাজার খ্রিস্টপূর্বের দিকে রাজা ডুঙ্গির একক শাসনের অধিনে আসে।

সুমেরীয় সভ্যতার অর্থনৈতিক অবস্থার ইতিহাস বিস্তারিত:

সুমেরীয়দের অর্থনীতির মূল শক্তি ছিলো কৃষি। নদীর তীরবর্তী সভ্যতা হওয়ার কারণে সুমেরীয়রা উন্নত সেচ ব্যবস্থা তৈরি করেছিলো।

তারা খাল খনন করে পানির চাহিদা পূরণ করতো। আবার বন্যার সময় বাঁধ নির্মান করে বন্যা থেকে নগর ও ফসল রক্ষা করতো।

তারা বিভিন্ন ধরণের শস্য উৎপাদন করতো। যেমন- যব, গম, বার্লি, শাক-সবজি, খেজুর সহ বিভিন্ন ফলমূল উৎপাদন করতো।

কৃষির পাশাপাশি সুমেরীয়রা ব্যবসা-বানিজ্যও করতো। তাদের অতিরিক্ত ফসল, শিল্পজাত দ্রব্যর বিনিময়ে ব্যবসা করতো।

যেমন সুমেরীয়রা- ক্রিট, প্যালেস্টাইন, ইজিয়ান, এশিয়া মাইনর, মিশর ইত্যাদি অঞ্চলের সাথে কৃষিজাত দ্রব্যর বিনিময়ে কাঠ, ধাতু আমদানি করতো।

সুমেরীয় সভ্যতার ধর্মীয় অবস্থার বর্ণনা:

সুমেরীয়রা তাদের বাস্তব জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে মিল রেখে ধর্মীয় আচার পালন শুরু করে। অর্থাৎ অধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় জীবনের চেয়ে তারা বাস্তকে বেশি গুরুত্ব দিতো।

ফলে বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দূর্যোগ, খরা, বন্যা, মহামারি ইত্যাদির সাথে সঙ্গতি রেখে দেব-দেবি কল্পনা করে, তাদের আরাধনা করতে থাকে। যেমনঃ

  • শামস ছিলো সূর্যের দেবতা
  • এনলিল ছিলো বৃষ্টি, মেঘ ও প্লাবনের দেবতা
  • ইসতার ছিলো নারী জাতীর প্রতীকি দেবি
  • নারগল ছিলো রোগব্যাধি ও মহামারির দেবতা
  • এনকি ছিলো পানি, মেধা ও জ্ঞানের দেবতা
  • ন্যান্স ছিলো কষ্ট দূরকারী দেবতা

সুমেরীয়রা মনে করতো তাদের দেবতাদের সন্ততুষ্ট না রাখলে, দেবতারা রেগে গিয়ে দূর্যোগ সৃষ্টি করে। তাই সুমেরীয়রা দেবতাদের উদ্দেশ্য করে পূজা করতো, পশু বলি দিত।

তারা আরো মনে করতো মারদুক হলো তাদের ঈশ্বর। আর মারদুক মাটি ও ড্রাগনের রক্ত থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছে।

সুমেরীয় আইন বা ডুঙ্গির আইন:

নগররাষ্ট্র সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য সুমেরীয়দের নিকট আইন প্রণয়ন অপরিহার্য হয়ে পরেছিলো। এক সময় সম্রাট ডুঙ্গি সমস্ত সুমেরীয়র খন্ড নগরকে একত্রিত করেন।

আর ঐ সময় সম্রাট ডুঙ্গি আইনের ভিত্তি স্থাপন করেন। ডুঙ্গির আইনে- ঋণ, কেনা বেচা, জমিজমা, ফৌজদারি ইত্যাদি বিষয় স্থান পায়।

ডুঙ্গির ফৌজদারি আইন ছিলো প্রতিশোধমূলক আইন। অর্থাৎ চোখের বদলে চোখ, হাতের বদলে হাত।

তবে ডুঙ্গির আইনে অসমতাও ছিলো। যেমন অভিজাত শ্রেণির লোকেরা অপরাধ করলে, অর্থের মাধ্যমে শাস্তি লাঘব করতে পারতো।

সুমেরীয় আইনে সম্পত্তির সুষ্ঠ বন্টনের চিহ্ন পাওয়া যায়। যেমন- সন্তান তার বাবার সম্পত্তি পেতো এবং মেয়েদেরও সম্পত্তিতে অধিকার থাকতো।

বর্তমান সময়ের মতো সুমেরীয়দের আইন এতো সু-সংগঠিত না হলেও, তাদের জন্য সেই আইন যথেষ্ট ছিলো বলে মনে করা হয়।

সুমেরীয় সভ্যতার লিখন পদ্ধতির ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য:

লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করা ছিলো সুমেরীয় সভ্যতার সব চেয়ে বড় একটি সফলতা। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দের দিকে তারা লিখন কাজ আরম্ভ করে।

সুমেরীয়দের লিখন পদ্ধতি ছিলো চিত্রভিত্তিক। এই চিত্রভিত্তিক লিখন পদ্ধতিকে চিত্রলিপিও বলা হতো।

এই লিপিগুলো তীরের মতো করে লেখা হতো- যেমন ইংরেজির V বর্ণ। সুমেরীয়রা লেখার জন্য কাদা মাটি দিয়ে তৈরি শ্লেট ও খাগের কলম ব্যবহার করতো।

নরম এই মাটির ফলকের উপর লিখে, শুকিয়ে তারপরে আগুনে পোড়ালে পোড়া-মাটির ফলকের মতো হয়ে যেতো। তা অনেক দিন সংরক্ষণ করা যেতো।

সুমেরীয়দের এই লিখন পদ্ধতির নাম ছিলো কিউনিফর্ম। এটা চিত্রভিত্তিক ছিলো। ফলে এটা বর্ণভিত্তিক ছিলো না, এটা মূলত অক্ষরভিত্তিক ছিলো।

সময়ের সাথে সাথে সুমেরীয়দের কিউনিফর্ম লিপি আরো সহজ হয়ে যায়। সাথে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

মেসোপটেমিয়ার লিপি বা লিখন পদ্ধতি বলতে সুমেরীয় লিপি বা লিখন পদ্ধতিকেই বোঝানো হয়ে থাকে।

পরে মেসোপটেমীয় সভ্যতার বাহিরে, হিট্রাইট, হুরিয়ান, ফিনিশীয় সহ এশিয়ার অন্য অঞ্চলেও কিউনিফর্ম লিপি ছড়িয়ে পরে।

ব্যাবীলনের নিপ্পর শহরে একটি মন্দিরের মাটি খনন করে অন্তত ৫০ হাজার কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা চাকতি পাওয়া গেছে।

সাহিত্য ক্ষেত্রে সুমেরীয় সভ্যতার অবদান:

সাহিত্য ক্ষেত্রে সুমেরীয়রা পিছিয়ে ছিলো না। তাদের সাহিত্যে রুপকথা, কামনা-বাসনা ইত্যাদির উল্লেখ পাওয়া যায়।

তাদের একটি উল্লেখ্যযোগ্য সাহিত্য নিদর্শন হলো “পবিত্র বিবাহ বন্ধন” নামক সাহিত্য। এগুলোতে বিবাহ, কামনা, বাসনা, পরকীয়া, রুপকথা ইত্যাদির আলোচনা পাওয়া যায়।

তাদের সাহিত্যে গিলগামেশের উপখ্যান অন্তর্ভূক্ত ছিলো। সেখানে সৃষ্টির রহস্য ও মহাপ্লাবন নিয়ে সাহিত্য রচনার চেষ্টা করা হয়েছে।

সুমেরীয়দের স্থাপত্য শিল্প:

স্থাপত্য কাজেও সুমেরীয়রা বেশ দক্ষ ছিলো। তারা ইট দিয়ে দেয়াল ও বাড়ির প্রাচীর তৈরি করতে পারতো।

তারাই প্রথম একটি স্থাপনায় খিলান, থাম, গম্বুজ তৈরির কৌশল রপ্ত করে। তারা এই কৌশলে মন্দির, রাজপ্রাসাদ ইত্যাদি করে।

বিশেষ করে সুমেরীয়দের স্থাপত্যের প্রমান পাওয়া যায় মন্দিরগুলোতে। যেমন- জিগুরাত। এগুলো প্রায় ৭০ ফুট লম্বা ও ৫০ ফুট চওড়া ছিলো।

স্বর্গ থেকে দেবতারা যেনো সহজেই নেমে আসতে পারেন, তার জন্য মন্দিরে চওড়া সিঁড়ি ছিলো। এছাড়াও মন্দিরের দেয়াল- সুন্দর রং, ফুল-ফলের চিত্র, দেয়াল চিত্র, মূর্তি ইত্যাদিতে সোভিত ছিলো।

সুমেরীয়দের ভাস্কর্য শিল্প:

সুমেরীয়রা তাদের রাজা, রাণী, ষাড়, গাছ-পালা সহ প্রকৃতির মূর্তি ও ভাস্কর্য তৈরি করতো। তারা ঈগল পাখির প্রতীকও ব্যবহার শুরু করেছিলো।

তাদের তৈরি ভাস্কর্যের অন্যতম একটি নিদর্শন হলো- লাগাসের রাজা গুদিয়ার মূর্তি। এছাড়ও, আরো নারী মূর্তি পাওয়া যায়।

সুমেরীয় সভ্যতার নারী-পুরুষ সবাই শিল্পে দক্ষ ছিলো। তারা যখন নারী মূর্তি তৈরি করত- তাতে সুন্দর করে চুলে বেনী করে দিত, মুখের সৌন্দর্যের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিত।

তাদের ভাস্কর্যগুলো বাস্তব ও প্রকৃতির সাথে বেশি মিল ছিলো। ফলে বলা যায়- তারা সকল ক্ষেত্রে বাস্তবমুখী ছিলো।

সুমেরীয় সভ্যতার ব্যবসা-বানিজ্যের ইতিহাস:

ব্যবসা বানিজ্য সুমেরীয়রা মোটেই পিছিয়ে ছিলো না। তারা আমদানি রপ্তানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক কৌশল সম্পর্কে অবগত ছিলো।

সুমেরীয়দের অর্থনীতির প্রথম চালিকা শক্তি ছিলো কৃষি। তবে- বানিজ্য ছিলো তাদের অর্থনীতির ২য় উৎস।

তাদের নগরের অভ্যান্তরে এবং বাহিরে, উভয় ক্ষেত্রেই তারা ব্যবসা করতো। তারা বানিজ্যর জন্য, নদী পথ, সমুদ্র ও স্থল পথ ব্যবহার করতো।

সুমেরীয়দের আমদানি করা জিনিসের মধ্যে ছিলো- কাঠ, বিভিন্ন ধাতব দ্রব্য, খনিজ, অলংকার, যুদ্ধের সরঞ্জাম ইত্যাদি ছিলো। ইরান, সিরিয়া, ক্রিট, এশিয়ার মাইনর, মিশর সহ প্রভৃতি অঞ্চল থেকে তারা আমদানি করতো।

ব্যবসার ক্ষেত্রেও তাদের প্রণিত কিছু নিয়ম-কানুন ছিলো। যেমন- ব্যবসার মূলধন, রসিদ, মালের হিসাব, চুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও চর্চা ছিলো।

তারা ব্যবসার ১ম দিকে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে লেনদেন করতো। তবে সময়ের প্রয়োজনে তারা সোনা ও রুপার বাট মুদ্রা চালু করে। তখন সুদের প্রচলনও ছিলো।

তারা ব্যবসার মালামাল বহন করার জন্য চাকাযুক্ত গাড়ির ব্যবহার করতো। সুতরাং বলা যায়- ব্যবসা বানিজ্যে সুমেরীয়রা অনেক এগিয়ে ছিলো।

কিছু প্রশ্ন ও উত্তর:

সুমেরীয় সভ্যতা কাকে বলে?

পশ্চিম এশিয়ার মেসোপটেমমীয় অঞ্চলে সর্বপ্রথম সুমেরীয় বা সুমের নামক জাতীরা যে সভ্যতা গড়ে তোলে তা ইতিহাসে সুমেরীয় সভ্যতা নামে পরিচিত।

সুমেরীয় সভ্যতা কবে গড়ে ওঠে?

প্রায় ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বে।

সুমেরীয়রা কতটি নগর রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিলো?

মোট ২০ টি।

সুমেরীয় সমাজ কত ভাগে বিভক্ত ছিলো?

৩ ভাগে।

নগর রাষ্ট্রের প্রধানকে সুমেরীয়রা কি নামে ডাকতো ?

পাতেশী বলে ডাকতো।

তাদের সূর্য দেবতার নাম কি ছিলো?

শামস।

সুমেরীয়দের মেধা ও জ্ঞানের দেবতা কে ছিলো?

এনকি।

নারী জাতীর প্রতীক ছিলো কোন দেবতা?

ইশতার।

ডুঙ্গি কে ছিলেন?

সুুমেরীয়দের সম্রাট।

ডুৃঙ্গি কিসের জন্য বিখ্যাত?

আইন প্রণয়নের জন্য।

কিউনিফর্ম কাকে বলে?

সুমেরীয় লিপিকে বলা হয় কিউনিফর্ম।

সুমেরীয় লিপির নামকরন করেন কে?

টমাস হাইড।

৩৬০ ডিগ্রিতে বৃত্তকে ভাগ পদ্ধতির আবিষ্কারক কারা?

সুমেরীয়রা।

৬০ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি কারা আবিষ্কার করে?

সুমেরীয়রা।

প্রথম দিনপঞ্জি আবিষ্কার করে কারা?

সুমেরীয়রা।

সুমেরীয় লুগাল কাকে বলে?

লুগাল হলো বুদ্ধিদীপ্ত স্বৈরাচার। যুদ্ধপরিচালনা করা ছিলো এদের কাজ।

ইউরুকাজিনা কে ছিলেন?

ইউরুকাজিনা ছিলেন সুমেরীয় লুগাল।