শরৎচন্দ্রের বিলাসী গল্প থেকে বারবার আসা ৫০+ প্রশ্ন

শরৎচন্দ্রের বিলাসী গল্প থেকে বারবার পরিক্ষা প্রশ্ন আসে। আজ তাই আমরা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর জীবনী ও বিলাসী গল্প জানব।

শরৎচন্দ্রের জন্ম, মৃত্যু, সাহিত্য ইত্যাদি আলোচনার পাশাপশি শরৎচন্দ্রের বিলাসী গল্প থেকে ৫০+ বারবার বিভিন্ন পরিক্ষায় আসা প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করলাম।

লেখক- শরৎচন্দ্রের পরিচিতিঃ

নামশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
জন্ম ও পরিচয়জন্ম তারিখ : ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রাম।
সাহিত্য কর্মউপন্যাসঃ ‘দেবদাস’, ‘পল্লি-সমাজ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘শ্রীকান্ত’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেনাপাওনা’ ইত্যাদি।
অবদানশরৎচন্দ্র তাঁর জীবনের  নানা অভিজ্ঞতা ও বিচিত্র সব মানুষের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর অজস্র উপন্যাসে। বিশেষ করে সমাজের নিচুতলার মানুষ তাঁর সৃষ্ট চরিত্রের অপূর্ব মানব-মহিমা নিয়ে চিত্রিত হয়েছে।
অন্যান্য তথ্যতিনি বাংলা-সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক।শরৎচন্দ্রের ছেলেবেলা কাটে দরিদ্র্যের মধ্যে।উচ্চ মাধ্যমিকপর্যায়ের বেশি বেশি তিনি পড়াশোনা করতে পারেননি।চব্বিশ বছর বয়সের মনের ঝোঁকে সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেছিলেন।সংগীতজ্ঞ হিসেবে খ্যাতির সূত্রে ঘটনাচক্রে এক জমিদারের বন্ধু হয়েছিলেন।তিনি জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন বর্মা মুল্লুকে।শরৎচন্দ্রের প্রথম মুদ্রিত রচনা কুন্তলীন পুরষ্কারপ্রাপ্ত ‘মান্দির’ নামে একটি গল্প।তাঁর উপন্যাসের বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি অঙ্কনে তিনি অসামান্য দক্ষতা দেখিয়েছিলেন।তাঁর বহু উপন্যাস ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত চলচিত্রায়িত হয়েছে।তাঁর কয়েকটি উপন্যাস বিদেশি ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে।
সাহিত্য স্বীকৃতিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে।
জীবনাবসানমৃত্যু সাল: ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ।
মৃত্যুস্থান: কলকাতা।

শরৎচন্দ্র সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

ছোটগল্প:
মন্দির (প্রথম গল্প)মহেশ (১৯২৬)বিন্দুর ছেলে (১৯১৪)অনুরাধামালমলার ফলবিলাসী (১৯২০)রামের সুমতি (১৯১৪)অভাগীর স্বর্গ (১৯২৬)সতীছবিমেজদিদি
প্রবন্ধ
নারীর মূল্য (১৯২৩)স্বদেশ ও সাহিত্য (১৯৩২)তারুণ্যের বিদ্রোহ (১৯১৯)স্বরাজ সাধনায় নারীভবিষ্যৎ বঙ্গ সাহিত্য
নাটক
ষোড়শী (১৯২৮, দেনা-পাওনা, উপন্যাসের নাট্যরুপ)।রমা (১৯২৮, পল্লী সমাজ উপন্যাসের নাট্যরুপ)।বিজয়া (১৯৩৫, দত্তা উপন্যাসের নাট্যরুপ)।

শরৎচন্দ্রের বিলাসী গল্প থেকে সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর:

  • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত বছর বয়সে মনের ঝোঁকে সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেছিলেন?
    উত্তর:  শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চব্বিশ বছর বয়সে মনের ঝোঁকে সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেছিলেন।
  • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন?
    উত্তর:  শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন।
  • লেখালেখি ছাড়াও শরৎচন্দ্র আর কোন পরিচয়ে বিশিষ্ট ছিলেন?
    উত্তর: লেখালেখি ছাড়াও শরৎচন্দ্র সংঙ্গীতজ্ঞ পরিচয়ে বিশিষ্ট ছিলেন।
  • শরৎচন্দ্রের প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ কোনটি?
    উত্তর: শরৎচন্দ্রের প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ ‘মন্দির’।
  • শরৎচন্দ্রের প্রথম মুদ্রিত রচনা ‘মন্দির’ কোন পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলো?
    উত্তর:  শরৎচন্দ্রের প্রথম মুদ্রিত রচনা ‘মন্দির’ কুন্তলীন পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলো।
  • শরৎচন্দ্রকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করে?
    উত্তর: শরৎচন্দ্রকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করে।
  • শরৎচন্দ্র যে গ্রামে জন্মগ্রহন করেন সে গ্রামের নাম কী?
    উত্তর: শরৎচন্দ্র যে গ্রামে জন্মগ্রহন করেন সে গ্রামের নাম দেবানন্দপুর।

বিলাসী থেকে কিছু প্রশ্নোত্তর:

  • ন্যাড়া কতটা পথ হেঁটে বিদ্যা অর্জন করতে যেত?
    উত্তর: ন্যাড়া ২ ক্রোশ পথ হেঁটে বিদ্যা অর্জন করতে যেত।
  • স্কুলে বিদ্যা অর্জন করতে যাওয়ার সময় ন্যাড়ার সাথে কতজন ছিল?
    উত্তর:  স্কুলে বিদ্যা অর্জন করতে যাওয়ার সময় ন্যাড়ার সাথে দশ-বারজন ছিল।
  • মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে ন্যাড়ার কোথায় প্রায়ই দেখা হতো?
    উত্তর:  মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে ন্যাড়ার স্কুলের পথে প্রায়ই দেখা হতো।
  • ন্যাড়ার চেয়ে মৃত্যুঞ্জয় কেমন বড় ছিল?
    উত্তর: ন্যাড়ার চেয়ে মৃত্যুঞ্জয় অনেক বড় ছিল।
  • মৃত্যুঞ্জয় কোন ক্লাসে পড়ত?
    উত্তর: মৃত্যুঞ্জয় থার্ড ক্লাসে পড়ত।
  • মৃত্যুঞ্জয়ের আম কাঁঠালের বাগানটা কোথায় ছিল?
    উত্তর: মৃত্যুঞ্জয়ের আম কাঁঠালের বাগানটা গ্রামের একপ্রান্তে ছিল।
  • মৃত্যুঞ্জয়ের পোড়াবাড়িটা কোথায় ছিল?
    উত্তর: মৃত্যুঞ্জয়ের পোড়াবাড়িটা আম বাগানের মধ্যে ছিল।
  • পৃথিবীতে আপনজন বলতে মৃত্যুঞ্জয়ের কে ছিল?
    উত্তর: পৃথিবীতে আপনজন বলতে মৃত্যুঞ্জয়ের এক জ্ঞতি খুড়া ছিল।
  • বইগুলো বগলে করে মৃত্যুঞ্জয় কিভাবে বিদ্যালয়ে যেত?
    উত্তর: বইগুলো বগলে করে মৃত্যুঞ্জয় পথের এক ধার দিয়ে বিদ্যালয়ে যেত।
  • ন্যাড়া কীভাবে মৃত্যুঞ্জয়কে দেখতে গেলো?
    উত্তর:  ন্যাড়া লুকিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে দেখতে গেলো।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তরঃ

  • মৃত্যুঞ্জয়কে যে চিকিৎসা করেছে সে যে বুড়ো মালো কোথায় থাকত?
    উত্তর: মৃত্যুঞ্জয়কে যে চিকিৎসা করেছে সে যে বুড়ো মালো মালোপাড়ায় কোথায় থাকত।
  • কে সেবা করে মৃত্যুঞ্জয়কে যমের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনে?
    উত্তর: বিলাসী সেবা করে মৃত্যুঞ্জয়কে যমের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনে।
  • অসুস্থ অবস্থায় ন্যাড়া মৃত্যুঞ্জয়কে কেমন দেখল?
    উত্তর:  অসুস্থ অবস্থায় ন্যাড়া মৃত্যুঞ্জয়কে কঙ্কালসার দেখল।
  • বুড়া মালো পেশায় কি ছিল?
    উত্তর: বুড়া মালো পেশায় সাপুরে ছিল।
  • মৃত্যুঞ্জয় কত দিন যাবৎ শয্যাগত ছিল?
    উত্তর: মৃত্যুঞ্জয় দেড় মাস যাবৎ শয্যাগত ছিল।
  •  ‘একলা যেতে ভয় করবে না তো’ উক্তিটি কার?
    উত্তর: ‘একলা যেতে ভয় করবে না তো’ উক্তিটি বিলাসীর।
  • মৃত্যুঞ্জয় কোন বংশের লোক ছিলে?
    উত্তর: মৃত্যুঞ্জয় মিত্তির বংশের লোক ছিল।
  • বিলাসীকে বিয়ে করার অপরাতে খুড়ার নেতৃত্বে ন্যাড়ারা কতজন লাঠিসোটা নিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছিল?
    উত্তর: বিলাসীকে বিয়ে করার অপরাতে খুড়ার নেতৃত্বে ন্যাড়ারা দশ-বারজন লাঠিসোটা নিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছিল।
  • খুড়া যখন মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি আক্রমণ করল তখন মৃত্যুঞ্জয় কী করছিল?
    উত্তর: খুড়া যখন মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি আক্রমণ করল তখন মৃত্যুঞ্জয় শুয়ে করছিল।
  • খুড়া মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি আক্রমণ করতে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে ঘরে শুয়ে থাকতে দেখে কী করল?
    উত্তর: খুড়া মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি আক্রমণ করতে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে ঘরে শুয়ে থাকতে দেখে দরজার শিকলটা টেনে দিল।
  • মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি আক্রমণ করার পর খুড়া বিলাসীকে কী বলেছিল?
    উত্তর: মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি আক্রমণ করার পর খুড়া বিলাসীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিল।
  •  “অকাল কুষ্মান্ড” এর অর্থ কী?
    উত্তর: “অকাল কুষ্মান্ড” এর অর্থ হলো অকর্মণ্য ব্যক্তি।
  • এডেন কিসের জন্য বিখ্যাত?
    উত্তর: এডেন সামুদ্রিক লবণ তৈরির জন্য বিখ্যাত।
  • মা-স্বরস্বতী কে?
    উত্তর: মা-স্বরস্বতী বিদ্যার দেবী।
  • রম্ভার কাঁদি কী?
    উত্তর: রম্ভার কাঁদি হচ্ছে কলার ছড়া।
  • কামস্কাট্কা কী?
    উত্তর: কামস্কট্কা একটি উপদ্বীপ।
  • মালো কাকে বলে?
    উত্তর: মালো সাপের ওঝা।
  •  ‘বার ওয়ারি’ শব্দের অর্থ হলো-
    উত্তর: ‘বার ওয়ারি’ শব্দের অর্থ হলো সর্বজনীন।