সেরা স্বাস্থ্য টিপস কি কি? ১০টি আধুনিক স্বাস্থ্য টিপস

প্রিয় পাঠক, আশা করি সুস্থ্য রয়েছেন। আপনাদের সুস্থ্যতাই আমরা কামনা করি! আজকের পোষ্ট থেকে সুস্থ্য থাকার ও ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখার কয়েকটি সেরা আধুনিক স্বাস্থ্য টিপস কি তা জানতে পারবেন।

আমরা সকলেই জানি ‘স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল’ কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমারা স্বাস্থ্য টিপস বা কোনো প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি না।

আবার আমরা স্বাস্থ্য বিধি বা স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কে কোনো প্রকার ধারণা রাখি না। ফলে আমাদের অজ্ঞতা বশত আমাদের অকালে বা অসময়ে স্বাস্থ্য হানি ঘটে।

তো চলুন আর দেরি না করে কয়েকটি সহজ ও সেরা আধুনিক স্বাস্থ্য টিপস কি কি তা জেনে নিই।

১। সর্ব সেরা স্বাস্থ্য টিপস সকালে খালি পেটে পানি পান করাঃ

আমাদের দিন শুরু হয় সকাল দিয়ে। তাই সকালের স্বাস্থ্য টিপস মানা আমাদের অতিব জরুরি! সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই খালি পেটে পানি পান করতে হবে এবং এটা অত্যন্ত উপকারি স্বাস্থ্য টিপস।

এর ফলে অনেক প্রকার রোগ থেকে শরীরকে সহজেই মুক্ত রাখা যায়! ঠিক এ কারনেই বিশেষজ্ঞরা সকালে এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

এছাড়া সকালে খালি পেটে পানি পান করলে আরো অনেক উপকার পাবেন! তাই সকালে পানি পান করার অভ্যস হতে পারে আপনার জন্য সেরা স্বাস্থ্য টিপস।

চলুন জেনে নিই সকালে পানি পানের কয়েকটি উপকারিতা:

  • রাতে একটানা ঘুমানোর কারনে, হজম প্রক্রিয়ার কোনো কাজ থাকে না। এজন্য সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি পানের ফলে হজম প্রক্রিয়া তড়ান্বিত হয় এবং হজম শক্তি বেড়ে যায়।
  • প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস হালকা গরম পানি পানে শরিরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়।
  • সকালে ১ গ্লাস পানি পানের কারণে দেহের রক্তের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
  • ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত পানি পানের ফলে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়।
  • প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে পানি খেলে দেহের মাংশ পেশি ও কোষ সুগঠিত হয়।
  • সকালে পানি পানের অভ্যসের ফলে কিডনির সমস্যা, মাসিকের সমস্যা, বমি বমি ভাব, ডায়ড়িয়া সহ বিভিন্ন রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি পানের কারণে মলাশয় পরিষ্কার থাকে; এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি মেলে এবং মল ত্যাগ আরামদায়ক হয়।

২। সুস্থ্য স্বাস্থ্য পেতে টাটকা ফল খেতে হবেঃ

আমার অনেকেই মনে করি যে শুধু ভাত-মাছ খেলেই আমাদের খাদ্যর সকল চাহিদা পূরণ হবে কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়।

তাই প্রতি বেলা ভাত তড়কারীর উপর ঝাাঁপিয়ে না পরে, টাটকা ফল খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।

কাঁচা-পাঁকা বিভিন্ন ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও ভিটামিন সহ প্রায় সকল প্রকার ভিটামিন থাকে।

ভিটামিন সি ত্বক ভালো রাখে এবং আমাদের চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ভিটামিন সি তাপে নষ্ট হয়।

এজন্য আমরা শুধু মাত্র রান্না করা খাবারের উপর নির্ভর হয়ে থাকলে এসকল অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থেকে বঞ্চিত হবো।

সুতরাং আমাদের সুস্থ্য শরীল ও ভালো নিরোগ স্বাস্থ্যর অধিকারী হতে হলে প্রতি দিন টাটকা ফল খাওয়ার অভ্যস করতে হবে।

৩। সেরা স্বাস্থ্য পেতে নিয়মিত ব্যায়ম করতে হবেঃ

ব্যায়াম করার বিষয় টি আমরা সকলেই জানি! কিন্তু আমরা দুঃখের বিষয় হলো, বিনা পয়সায় পাওয়া এই সেরা স্বাস্থ্য টিপস আমরা মানতে রাজি নই।

কারণ ব্যায়ামের উপকারিতা কি, কখন ব্যায়াম করা ভালো, সঠিক ভাবে ব্যায়ামের নিয়ম আমরা জানি না।

ফলে ফলে আমাদের অনেকেই কিছু দিন ব্যায়াম করলেও, পরে আর অগ্রহ থাকে না। তাই ব্যায়ামের গুরুত্ব মাথায় রাখতে হবে।

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করার ফলে শরীরের ওজন ঠিক থাকে। উচ্চ রক্ত চাপ কমে যায়।

শিশু এবং কিশোরদের প্রতি দিন অন্তত ১ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে অথবা ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে খেলাধূলায় অংশ্রগ্রহণ করতে হবে।

সু-স্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য, পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির প্রতি দিন কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা থেকে ৩ ঘন্টা ব্যায়াম অথবা শারীরিক বা কায়িক শ্রম করতে হবে।

৪। ভালো স্বাস্থ্য পেতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবেঃ

খিদে পেলে আমরা কোনো কিছু বিবেচনা না করেই বা খাবারে পুষ্টিমান বিচার না করে খাবার সাবার করে দেই।

আবার অনেকেই মনে করি পুষ্টিকর খাবার মানেই হলো দামি খাবার। এধারণা মোটেই ঠিক না।

আমাদের দেশে অনেক কম মূল্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া যায়। এর মধ্যে উদ্ভিজ খাবার শাক-সবজি অন্যতম।

তাছাড়া, রাস্তার পাশের খোলা খাবার খেলে আমাদের স্বাস্থ্য নাশের আশংকা রয়েছে। তাই খাদ্যর গুণাগুণ সম্পর্কে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।

অতিরিক্ত তেল চর্বি যুক্ত খাবার বর্জন করে চলতে হবে।

ভালো স্বাস্থ্য পেতে সুনির্দিষ্ট মাত্রায় প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। কারণ প্রোটিন আমাদের দেহ গঠন করে, ক্ষয় পূরণ করে, দেহের বৃদ্ধি করে।

মাছ, মাংস, ডিম হলো প্রণিজ প্রোটিনের প্রধান উৎস। এছাড়া যারা অপেক্ষাকৃত বেশি পরিশ্রম করেন, তাদের শর্করা বা কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে।

৫। ওজন কমানোর স্বাস্থ্য টিপস মেনে চলতেই হবেঃ

সুস্থ্য মন ও ভালো স্বাস্থ্য পেতে ওজন কমানোর কোনো বিকল্প নেই এবং বর্তমানে অধুনিক সময়ে ওজন কমানো খুব কঠিন কাজ নয়।

তাই ওজন কমানো হতে পারে আপনার জন্য সেরা স্বাস্থ্য টিপস।

তো চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি সহজ উপায়ে ওজন কমানো যায়ঃ

  1. সবুজ চা বা গ্রীন টিঃ একটি গবেষণার প্রতিবেদেনে দেখা গেছে যে, ১ দিনে মাত্র চার কাপ সবুজ চা বা গ্রীণ টি পান করার ফলে শরীলের ৪০০ ক্যালরি ক্ষয় হতে পারে। ফলে এটি ওজন ঠিক রাখে।
  2. দিবা নিদ্রা বা দিনে ঘুমানো যাবে নাঃ আমরা অনেকেই আছি , যারা দিনের বেলা ঘুমিয়ে থাকি। কিন্তু এর ফলে, ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই রাতে নিয়ম করে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে ।
  3. মশলার খাবারঃ শুধু সেদ্ধ করা খাদ্য কখনোই খাওয়া যাবে না। আবার জিরে গুড়া, হলুদ, ধনে ইত্যাদি মশলা নিয়মিত খেতে হবে; কারণ, এগুলো ওজন কমায়।
  4. পানি ও তরল পান করাঃ ওজন কমাতে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে পানি আমাদের দেহ থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
  5. আমরা অনেকেই বসে বসে কাজ করি। কিন্তু যে সকল কাজ হেঁটে হেঁটে করা যায় তা বসে না করাই ভালে। যেমনঃ ফোনে কথা বলার সময় বা বই পড়ার সময় হালকা হাাঁটাহাটি করতে পারেন।
  6. মিষ্টি বা চিনি জাতীয় খাবার আপনাকে ছাড়তেই হবে। কারন; চিনি থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত ক্যালোরি দেহে জমা হয়ে ওজন বাড়তে পারে।

Leave a Comment