ডিমকে বলা হয় ব্যাচেলরদের জাতীয় খাবার। আর সেটা যদি হয় ডিমের ভাজি তাহলে তো কথাই নেই। তাহলে চলুন, আজকে ডিম ভাজি করার সবচাইতে সহজ ২টি রেসিপি জেনে নিব।
আমরা প্রায় সকলেই ডিম পছন্দ করি। প্রকৃতপক্ষে ডিম পছন্দ করে না, এমন মানুষ খুজে পাওয়া দায়।
ডিম বিভিন্ন ভাবে রান্না করা যায়। যেমন- ডিমের ভাজি, ভর্তা, ডিমসিদ্ধ, ভুনা ইত্যাদি। এছাড়াও, কেক, বিস্কুট, চপ, নুডুলস সহ বিভিন্ন খাদ্য তৈরিতে এই ডিমের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মজার ব্যাপার হলো ডিম নিজে এমন ১টা কোষ যাকে খালি চোখে দেখা যায়। ডিমে ভিটামিন সি ছাড়া প্রায় সকল প্রকার ভিটামিন উপস্থিত থাকে।
এর মধ্যে প্রোটিনের পরিমান বেশি। তাছাড়া ডিমের বড় অংশ জুড়ে থাকে কুসুম। কুসুমে ফ্যাট থাকে। যা ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে।
প্রোটিন তাপে নষ্ট হয়ে যায় না। এজন্য আপনি ডিম ভাজি করে খেলে পুষ্টি গুন হ্রাস পাবে না। তাই সঠিক প্রক্রিয়ায় ১টি ডিমের ভাজি করে নাস্তা করে নিতে পারবেন ।
ডিম ভাজির মতো সহজ রান্না পৃথিবীতে আর নেই। তাই আমাদের এই পোষ্ট টি শুধু নতুনদের জন্য। চলুন দেখে নিই রান্নার রেসিপি প্রক্রিয়াটি-
প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ:
- ডিম নিতে হবে ২ টি (মুরগির)
- পরিমান মতো লবন
- পরিমান মতো হলুদগুড়া
- কাঁচা মরিচ কুচি ৫ টি
- ২টি ছোট পেঁয়াজ কুচি
- ভাজার জন্য সয়াবিন বা ভোজ্য তেল
ডিম ভাজি করার সহজ ২টি নিয়ম:
ভাজি করার ১ম নিয়ম:
ডিমের ভাজি করার ১ম নিয়মটি বেশি সহজ। এজন্য একটি পরিষ্কার বাটিতে ডিম ভেঙ্গে নিতে হবে।
এখন সকল মসলা এর সাথে ভালো করে মেশাতে হবে। তারপরে, চুলাই কড়াই দিয়ে, তেল গরম করতে হবে।
তেল গরম হয়ে এলে, বাটিতে মশলা সহ মিশিয়ে রাখা ডিম তেলে ছাড়তে হবে। সমস্ত ডিম সমান ভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ডিমের একপাশ হয়ে এলে, উল্টিয়ে দিতে হবে। একটু পরে ভাজা হয়ে যাবে। তখন চুলা থেকে নামিয়ে রাখতে হবে।
- আরো পড়ুন:
ডিম ভাজির ২য় নিয়ম:
প্রথমে কড়াইতে তেল দিয়ে দিন, তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি ও মরিচ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
তারপরে লবণ ও হলুদ দিয়ে দিন। এগুলো দিয়ে নাড়তে থাকুন। একটু পরে সব মশলা বাদামী হয়ে যাবে।
মসলাগুলো বাদামি রং এর হয়ে এলে ডিম ভেঙ্গে মশলার উপর ছড়িয়ে দিন। ডিম কড়ায়ে তেলের উপর ছড়িয়ে দিন। ডিম উল্টিয়ে দিয়ে উভয় পাশে ভেজে নিন।
৫ থেকে ৭ মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। খিচুড়ি অথবা ভাতের সাথে ডিমের এই ভাজি পরিবেশন করুন।
ভিডিওতে ডিম ভাজির পদ্ধতি দেখুনঃ
রান্নার সতর্কতাঃ
১। ডিমের খোসা যেনো মিশে না যায় ।
২। তেলের পরিমান কম হলে, ভাজির স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে ।
৩। ডিম যেনো বেশি ভাজা না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
FAQ
প্রোটিন ও ফ্যাটের চাহিদা পূরন করে।
১ বছরের বেশি বাচ্চাদের খাওয়ানো যায়।
না।
৫ থেকে ১০ মিনিট।
ভাত, পোলাও, খিচুরি ইত্যাদি।