সকল প্রকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির কাজ ও মেরামত শিক্ষা বা ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস ইঞ্জিনিয়ারিং ২টি pdf free বই নিয়ে হাজির হলাম।
আমরা অনেকেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ শিখতে চাই। কিন্তু আমাদের কাছে ইঞ্জিনিয়ারিং বই না থাকার কারণে আমরা তা শিখতে পারি না।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এই সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। সকলে যাতে হাতে কলমে বিদ্যুতের কাজ শিখতে পারে, এজন্য ছবি সহ বৈদ্যুতিক কাজ শিক্ষার বই তৈরি করা হয়েছে।
ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস ইঞ্জিনিয়ারিং ১ম বই pdf download করুন:
- বইয়ের নাম: ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস ১
- ফাইল নেম: Electrical Maintenance Works 1
- শ্রেণি: নবম ও দশম
- বোর্ড: কারিগরি ও ভোকেশনাল
- প্রকাশক: এনসিটিবি
- লেখক: ইঞ্জিনিয়ার ড. মো: ফজলুর রহমান
- পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩১৭ টি
- সাইজ: 11 MB
- pdf বই:
ইলেক্ট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং ২য় বই pdf download করুন:
- বইয়ের নাম: ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস ২
- ফাইল নেম: Electrical Maintenance Works 2
- শ্রেণি: Class 9 and 10
- বোর্ড: কারিগরি
- প্রকাশক: NCTB
- লেখক: ইঞ্জি. ড. মো: ফজলুর রহমান
- পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৩৪ টি
- সাইজ: 14 MB
- pdf বই:
ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং ১ম বই রিভিউ:
বিদ্যুতের কাজ শিক্ষার ১ম বইয়ের শুরুতেই বিদ্যুৎ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা দেয়া হয়েছে। যেমন; বিদ্যুৎ কি ও কাকে বলে, বিদ্যুৎ কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি।
- আরো পড়ুন
পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। আর অপরিবাহীর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় না। তাই পরিবাহী ও অপরিবাহী নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
এরপরে, ভোল্টেজ, রেজিস্ট্যান্স বা রোধ, ওহমের সূত্র ও সূত্রের ব্যবহার, বিদ্যুতের সিরিজ ও প্যারালাল সার্কিট ও কানেশন, এসি সার্কিট নিয়ে বলা হয়েছে।
বিদ্যুতের সাথে চৌম্বকের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স বইতে চৌম্বক ও চৌম্বক পদার্থ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বৈদ্যুতিক কাজ করার জন্য আমাদের বিভিন্ন মিটার প্রয়োজন হয়। কারেন্ট, ভোল্ট, ওয়াট, লোড, রোধ ইত্যাদি মাপার জন্য এগুলো প্রয়োজন হয়।
তাই এই বইতে অ্যামিটার, ভোল্টমিটার, ওহম মিটার, অ্যাভোমিটার, বৈদ্যুতিক পাওয়ার মিটার, ওয়াট মিটার, এনার্জি মিটার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করার আগে, বিদ্যুৎ কিভাবে উৎপন্ন হয়, তা জানা প্রয়োজন।
তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি, ফেজ নিয়ে এই বইতে আলোচনা করা হয়েছে।
এরপরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার ১ম বইতে এসি ও ডিসি জেনারেটর, এসি ও ডিসি মোটর তাদের কাজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বিদ্যুতের পোল বা টাওয়ার, ট্রান্সফর্মার, বিদ্যুৎ বন্টন, আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল, ক্যাবলের জয়েন্ট ইত্যাদি বিষয়ে ১ম বইয়ের শেষে আলোচনা করা হয়েছে।
- আরো পড়ুন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি pdf বই
২য় বই রিভিউ:
বৈদ্যুতিক কাজ শিক্ষার ২য় বইয়ের শুরুতেই নিরাপদে বিদ্যুতের কাজ করার উপায় ও কৌশল এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বলা হয়েছে।
ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রিক্যাল কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ছোট বড়, যন্ত্র ও টুলস প্রয়োজন হয়।
এজন্য ইলেকট্রিশিয়ানের প্রয়োজনীয় টুলস ও এর ব্যবহার নিয়ে বলা হয়েছে।
এরপরে, বাসা-বাড়িতে বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ও ফিটিংস, ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড, পিভিসি তার, তারের জয়েন্ট, জয়েন্টে সোল্ডারিং, টেপিং নিয়ে বলা হয়েছে।
লাইট সার্কিট, বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণ যন্ত্র, ফিউজ, সার্কিট ব্রেকার লাগালোর নিয়ম, ওয়্যারিং করার নিয়ম, অর্থিং করার নিয়ম নিয়ে বলা হয়েছে।
ক্যাপারিসটর কি ও কাকে বলে, ক্যাপাসিট্যান্স কি, সেল ও ব্যাটারি কি ও কত প্রকার, সাধারণ সেল, ড্রাই সেল, সেলের সংযোগ নিয়েও বইতে আলোচনা রয়েছে।
পরে, আর্থ বা আর্থিক লিকেজ হলে কি করতে হবে, সার্কিট ব্রেকার সংযোগ ও মেরামত, রিলে ও লাইটিং নিয়ে বলা হয়েছে।
এরপরে বাসা-বাড়িতের ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের ডিভাইস ও যন্ত্রপাতি মেরামত করার উপায় নিয়ে এই ২য় বইতে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন:
- হিাটার নষ্ট হলে মেরামত করার নিয়ম
- বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি মেরামত করার সহজ নিয়ম
- ইলেকট্রিক কুকার বা রাইস কুকার মেরামত করা
- ব্লেন্ডার মেশিন মেরামত করার নিয়ম
- হেয়ার ড্রায়ার মেরামত করা
- অটো কফি মেকার মেরামত করার নিয়ম
- ওয়াশিং মেশিন মেরামত
- মাইক্রোওয়েভ ওভেন মেরামত করার নিয়ম
- ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটর মেরামত করার নিয়ম
- এসি মেরামত করার নিয়ম
- বৈদ্যুতিক টোস্টার মেরামত করার নিয়ম
সর্বশেষে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সাধারণ ত্রুটি এবং হোম আইপিএস, ইউপিএস, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বর্তমানের আধুনিক জীবন বিদ্যুৎ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা আরো বেড়েই চলেছে।
ফলে, বিদ্যুতের কাজের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। তাই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস বই ২টি থেকে আপনি সহজেই বিদ্যুতের কাজ শিখতে পারেন।
প্রশ্ন ও উত্তর:
ইলেক্ট্রনের চলনই বিদ্যুৎ।
২ প্রকার। চল তড়িৎ ও স্থির তড়িৎ।
টমাস আলভা এডিসন।
জেনারেটর চালিয়ে, ডিজেল ইঞ্জিন থেকে, টারবাইন ঘুরিয়ে, সোলার বা সৌর কোষ ইত্যাদি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
বিদ্যুৎ চলার সম্পূর্ণ পথকে সার্কিট বলে।
সার্কিটের নেগেটিভ ও পজেটিভ প্রান্তের বিভব পার্থক্যই হলো ভোল্ট।
ভোল্ট মিটার দিয়ে।
যার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সহজে চলতে পারে, তাই পরিবাহী। যেমন: তামা, রোপা।
যার মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ চলতে পারে না। তাকে অপরিবাহী বলে। যেমন: প্লাস্টিক, ইট।
যারমধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ অল্প চলে। যেমন: সিলিকন।
অ্যামিটার দিয়ে।
সোলার সিস্টেম, উইন্ডমিল।