চাকরির পরিক্ষায় ইংরেজি সাহিত্যে বেশি মার্ক পাবার কিছু কৌশল রয়েছে।
যেমন- কি কি পড়তে হবে তা জানতে হবে, বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করতে হবে, কোন টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে তা জানতে হবে।
আমরা আজকের পোস্টে এই সকল বিষয়গুলো আলোচনা করার মাধ্যমে আপনার কাজকে সহজ করব ইনশাআল্লাহ।
আর একটি কথা, আমাদের মধ্যে অনেকেই চাকরির পরিক্ষায় ইংরেজি সাহিত্যের অংশ বাদ দিয়ে প্রস্তুতি নিতে চান।
তাদের জন্য বলছি, এমন চিন্তা থাকলে তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলুন। কারন চাকরির পরিক্ষায় ন্যূনতম মার্ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
১। আপনার চাকরির পরিক্ষার সিলেবাস জানুন:
আপনারা যারা বিসিএস পরিক্ষা দিবেন তারা নিশ্চয় জানেন যে বিসিএস প্রিলি পরিক্ষায় ইংরেজি সাহিত্য থেকে মোট ১৫ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়।
তাই বিসিএস প্রিলি পরিক্ষা পাশ করার জন্য ইংরেজি সাহিত্যে ভালো করার কোনো বিকল্প নেই।
বিসিএস ছাড়াও অন্যান্য অনেক চাকরি পরিক্ষায় ইংরেজি সাহিত্য অংশ থেকে প্রশ্ন আসে।
তাই আপনার কাজ হবে উক্ত পরিক্ষার সিলেবাস ও নম্বর বন্টন জেনে নেওয়া।
এছাড়াও আমরা বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে শিওর হতে পারি। এতে করে কোন টপিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা সহজে অনুমান করা যায়।
২। ইংরেজি সাহিত্যে বেশি মার্ক পাবার ১ম ধাপ:
আপনি যদি ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থী না হোন কিংবা আপনার অ্যাকাডেমিক পর্যায়ে ইংরেজি সাহিত্য পড়া না থাকে তবে আপনার জন্য প্রস্তুতির ধাপ হবে একটু আলাদা।
বিগত সালের বিভিন্ন পরিক্ষায় ইংরেজি সাহিত্য থেকে আসা প্রশ্ন দিয়ে আপনার যাত্রা শুরু করতে হবে।
আপনি শুধু পড়ে যাবেন। জাস্ট রিডিং দিবেন। আপনাকে সব মনে রাখতে হবে না।
তাহলে দেখতে পাবেন যে কিছু কিছু প্রশ্ন বিভিন্ন পরিক্ষায় রিপিট হয়েছে। আপনার সেগুলো মনেও থাকছে।
এই যেমন ধরুন, আপনি অনেক প্রশ্নে William Shakespeare এর নাম পাবেন। আবার G.B. Shaw এর নাম, T.S. Eliot এর নাম সহ আরো কিছু ইংরেজ লেখকের নাম পাবেন।
আবার হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, রোমিও জুলিয়েট, গ্যালিভার ট্রাভেলস, হ্যারিপটার, ওল্ড ম্যান এন্ড সি সহ ইত্যাদি ইত্যাদি নাটক, উপন্যাস পাবেন।
বিভিন্ন যুগের নাম, কে কোন ধরনের কবি, কাকে কিসের কবি বলা হয় ইত্যাদি বহু প্রশ্ন পাবেন।
এতে করে আপনাকে আর বলে দিতে হবে না যে আপনাকে ইংরেজি সাহিত্যে বেশি মার্ক পাবার জন্য কি কি পড়তে হবে। এখন আপনি অনেক কিছু জানেন।
৩। ইংরেজি সাহিত্যে ভালো মার্ক পেতে গুরুপূর্ণ লেখক পড়ুন:
যে যে লেখক থেকে বেশি বেশি প্রশ্ন এসে থাকে এমন ধরনের ১৫ থেকে ২০জন লেখকের লিস্ট করুন।
তাদের সম্পর্কে জানুন ও তাদের রচনা সমূহ জানুন। তাদের রচিত যে সকল রচনা থেকে প্রশ্ন এসেছে, সেই ধরনের অন্যান্য রচনাও পড়ুন।
আপনার কাজ সহজ করার জন্য নিচে ইংরেজি সাহিত্যের বেশ কিছু লেখকের নামের লিস্ট দিলাম:
- William Shakespeare
- William Black
- Christopher Marlowe
- William Wordsworth
- Somerset Maugham
- G. B. Shaw
- T. S. Eliot
- W. B. Yeats
- S. T. Coleridge
- P. B. Shelley
- John Milton
- John Donne
- John Keats
- Jonathan Swift
- Alexander Pope
- Thomas Hardy
- Thomas Kyd
- G. Orwell
- E. M. Foster
- Ernest Hemingway
আপাতত এই ২০ জন ইংরেজ সাহিত্যিকে সকল রচনা আপনি প্রাথমিক ভাবে পড়বেন। তাহলে আশা করা যায় ইংরেজি সাহিত্যে আপনার সিংহভাগ পড়া হয়ে যাবে।
আর যদি সম্ভব হয় এর বাহিরেও আরো কিছু লেখক রয়েছে। তাদেরকে পরবর্তীতে পড়তে হবে। আপনি নিজেই সেসব লেখককে পরবর্তীতে চিহ্নিত করতে পারবেন বলে আমরা মনে করি।
৪। শুরু থেকে সাহিত্য শুরু করুন:
বাংলা সাহিত্যে যেমন যুগ বিভাজন রয়েছে, আদি যুগের নিদর্শন রয়েছে ঠিক তেমনি ইংরেজি সাহিত্যেও রয়েছে।
যুগ বিভাজন থেকে প্রশ্ন তুলনামূলক কম আসে। তবুও সাহিত্যে ভালো করতে চাইলে এটি আপনাকে জানতেই হবে।
কোন লেখক কোনে যুগের, কোন রচনা কোন যুগের ইত্যাদি সদৃশ প্রশ্ন প্রায়শই চাকরি পরিক্ষায় আসে।
তাই যুগ বিভাজন জানতেই হবে। এটি আপনার ইংরেজি সাহিত্য পড়ার হাতে-খড়ি হতে পারে।
৫। ইংরেজি সাহিত্যের কিছু টার্ম জানতে হবে:
বাংলা সাহিত্যে আমরা যেমন বিভিন্ন টার্ম দেখি ঠিক ইংরেজি সাহিত্যেও তা রয়েছে।
প্রায়শই চাকরির পরিক্ষায় ইংরেজি সাহিত্যের এসব টপিক থেকে প্রশ্ন করা হয়। এছাড়াও সাহিত্যের ভাব ও গভীর অর্থ বুঝতে এগুলো জানা আবশ্যক।
আপনার কাজ সহজ করার জন্য আমরা নিচে ইংরেজি সাহিত্যের কিছু টার্ম দিয়ে দিলাম:
- Simile
- Metaphor
- Alliteration
- Allegory
- Allusion
- Elegy
- Ballad
- Epic
- Irony
- Hyperbole
- Oxymoron
- Paradox
- Climax
- Anti-Climax
- Sonnet
- Personification
এছাড়াও ট্রাজেডি, কমেডি, ট্রাজিকমিডি, ড্রামা, প্লে, নভেল ইত্যাদি শব্দ দ্বারা কি বোঝানো হয় সেসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
বোনাস টিপস:
ইংরেজি সাহিত্যে বেশি মার্ক পাবার আরো কিছু কৌশল রয়েছে। যেমন কিছু চির সবুজ প্রশ্ন রয়েছে। সেগুলো হবুবু মুুখস্থ করতে হবে।
কোন দেশের জাতীয় কবি কে, কোন বিখ্যাত বইয়ের লেখক কে, কোন কবি কেন ও কি হিসেবে পরিচিত ইত্যাদি প্রশ্ন সরাসরি মুখস্থ করতে হবে।
অ্যাডভান্স পর্যায়ে আপনাকে বিখ্যাত রচনার চরিত্র ও চরিত্রের বৈশিষ্ট্য জানতে হবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উক্তি জেনে রাখতে হবে।
অনেকেই বইয়ের কভার প্রিন্ট করে দেয়ালে টানিয়ে রাখেন। যাতে নিয়মিত চোখ বুলালে ভিজুয়্যালি তা মাথায় সেট হয়ে যায়।
এই ধরনের প্রশ্ন সাহিত্য ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের অংশেও আসতে পারে।
আমরা অনেকেই ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন টপিক ছন্দ আকারেও পড়ে থাকি। এতে অনেকেই সহজেই মনে রাখতে পারেন।
তবে একজনের পড়ার কৌশল অরেকজনের সাথে নাও মিলতে পারে। তাই সকল কৌশল সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
আশা করি আজকের এই আলোচনা আপনার ন্যূনতম হলেও উপকারে আসবে।
চাকরির অন্যান্য টপিকের উপর লেখা বিভিন্ন আলোচনা পড়ুন আমাদের সাইট থেকে। শুভকামনা।