মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ PDF সহ

২০২৪ সালের মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি বা সার্কুলার প্রকাশ করা হয়েছে। তাই ২০২৪ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সম্পূর্ণ সার্কুলার pdf সহ নিয়ে হাজির হলাম।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিশেষ তথ্য:

  • মেডিকেলে ভর্তি আবেদন শুরু: ১১ জানুয়ারী ২০২৪ সকাল ১০ টা
  • আবেদন করার শেষ: ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ রাত ১২ পর্যন্ত
  • আবেদন ফি জমা দেয়া শেষ তারিখ: ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ রাত ১২ টা
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফি: ১ হাজার টাকা
  • প্রবেশ পত্র ডাউনলোড করার তারিখ: ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ৭ ফেব্রয়ারী ২০২৪
  • মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ (সকাল ১০ থেকে ১১ টা পর্যন্ত)
  • মেডিকেলে আবেদন করার ওয়েব সাইট হলো www.dgme.teletalk.com.bd
  • মোট সিট সংখ্যা 5380 টি।

২০২৪ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ জেনে নিন:

  • মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • ২০২৪ সালের মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় সেকেন্ড টাইম রয়েছে।
  • অর্থাৎ মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় আবেদনকারীকে অবশ্যই ২০২২ অথবা ২০২৩ সালে HSC পাশ হতে হবে।
  • আবার ২০২০ বা ২০২১ সালে SSC পাশ হতে হবে।
  • মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় আবেদনকারীকে SSC + HSC তে জীববিজ্ঞান, পদার্থ ও রসায়ন সহ পাশ করতে হবে।
  • SSC + HSC মিলিয়ে মোট ৯ পয়েন্ট হতে হবে।
  • আর অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রে মোট ৮ পয়েন্ট থাকলেও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করা করা যাবে।
  • তবে, SSC বা HSC তে ৩.৫০ পয়েন্ট এর কম পায়, সে মেডিকেলে আবেদন করতে পারবে না।
  • জীব বিজ্ঞানে সবাইকে সর্বনিম্ন ৪.০০ পয়েন্ট (চার পয়েন্ট) পেতে হবে।
  • ২০২৪ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি নিচে দেয়া হলো।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি সরাসরি PDF ডাউনলোড লিংক:

  • সার্কুলার প্রকাশ তারিখ: ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • বিজ্ঞপ্তি টপিক: মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার ২০২৪ সালের ভর্তি সার্কুলার
  • pdf বিজ্ঞপ্তির পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২ টি
  • pdf সাইজ: 1 MB
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশক: স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর
  • পিডিএফ এর নাম: মেডিকেল ভর্তি সার্কুলার ২০২৪
  • PDF নিচে দেয়া হলো:
সালসার্কুলার লিংক
২০২৪ সার্কুলারডাউনলোড করুন
২০২৩ সার্কুলারডাউনলোড করুন
২০২২ সার্কুলারডাউনলোড করুন
(মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার সার্কুলার লিস্ট)

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ও পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি ও মানবন্টন (২০২৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী):

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১ ঘন্টা বা ৬০ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষাও ১ ঘন্টার হবে।

আর মেডিকেল ভর্তির প্রশ্ন হিসেবে ১০০ টি MCQ প্রশ্ন দেয়া থাকবে। ১ টি MCQ প্রশ্নের নম্বর হবে ১ নম্বর।

তাই ১০০ টি প্রশ্নের নম্বর হবে ১০০ নম্বর। এই ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪০ (চল্লিশ) পেলে পাশ হবে।

মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় কেউ যদি ভূল উত্তর দেয়, তার জন্য, নম্বর কাটা যায়। যেমন- কেউ ১ টি ভূল MCQ উত্তর করলে ০.২৫ নম্বর, অথবা, ২টি ভূল করলে ০.৫০ বা চারটি ভূল করলে ১ নম্বর কাটা যাবে।

Medical ভর্তি পরীক্ষাতে মোট ৫ টি বিষয় থেকে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। এগুলো হলো; জীব, পদার্থ, রসায়ন, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান। কোন বিশষ থেকে কতটি প্রশ্ন থাকবে নিচের ছকে দেয়া হলো:

বিষয়:নম্বর/প্রশ্ন সংখ্যা
জীব বিজ্ঞান৩০ নম্বর
রসায়ন২৫ নম্বর
পদার্থ২০ নম্বর
ইংরেজি১৫ নম্বর
সাধারণ জ্ঞান
(বাংলার ইতিহাস
ও মুক্তিযুদ্ধ)
১০ নম্বর
মোট = ১০০ নম্বর
মেডিকেল ভর্তির মান বন্টন

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতে SSC ও HSC রেজাল্ট এর উপর কত নম্বর থাকে:

ভর্তি পরীক্ষাতে ১০০ নম্বর ছাড়াও SSC ও HSC রেজাল্ট এর উপর ২০০ নম্বর রয়েছে। অর্থাৎ SSC ও HSC এর রেজাল্ট এর উপর ২০০ নম্বর + ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বর।

এই মোট ৩০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।

যেমনঃ
* HSC তে পাওয়া পয়েন্ট কে ২৫ দিয়ে গুণ করা হবে।
* SSC তে পওয়া পয়েন্ট কে ১৫ দিয়ে গুণ করা হবে।

উদাহরণ সরূপ: রহিম নামের একজন ছাত্র HSC তে ৫ পয়েন্ট পেয়েছে; আবার SSC তে ৫ পয়েন্ট পেয়েছে।

তাহলে তার পয়েন্ট হবে:
HSC = ৫ x ২৫ = ১২৫
এবং SSC = ৫ x ১৫ = ৭৫
মোট ২০০ পয়েন্ট।

অন্য দিকে সে যদি পরিক্ষায় ১০০ এর ৭০ নম্বর পায় তাহলে তার মোট ২৭০ নম্বর হবে। আর এভাবে সবার মেধা তালিকা তৈরি হবে।

(মেডিকেল ভর্তির সকল নিয়ম কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন করতে পারবেন)

নোটঃ
যারা সেকেন্ড টাইমার অর্থাৎ ২০২১ সালে HSC পাশ করেছে, তাদের মোট প্রাপ্ত নম্বর বা পয়েন্ট থেকে ৫ নম্বর বাদ দেয়া হবে।

আর যারা আগের বছর মেডিকেল কলেজে অলরেডি চান্স পেয়েছে, কিন্তু, তবুও এই বছর আবার ভর্তি পরীক্ষা দিবে, তাদের মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৮ নম্বর কাটা যাবে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অনলাইনে আবেদন করা পদ্ধতি:

আবেদন করার জন্য সর্ব প্রথম www.dgme.teletalk.com.bd এই সাইটে প্রবেশ করতে হবে।

মেডিকেল ভর্তির জন্য ২০২৪ সালে ১ হাজার টাকা ফি রাখা হয়েছে। তাই আবেদনের জন্য ১ হাজার টাকা অনলাইনে আগে পরিশোধ করতে হবে।

আবার মেডিকেল কলেজ ভর্তির আবেদনের ফি জমা দেয়ার পর দাখিলকৃত আবেদনপত্রের কোনাে সংশােধন করার প্রয়োজন হলে, পুনরায় ফি জমা দেয়া সাপেক্ষে পুনরায় আবেদন করা যাবে।

তবে এক্ষেত্রে সর্বশেষ আবেদনপত্র বৈধ ও চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

মেডিকেল ভর্তি আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

ভর্তির আবেদন ডকুমেন্ট হিসেবে 300 x 300 pixel মাপের নিজের একটি রঙ্গিন ছবি jpg ফাইলের সাইজ 100 KB এর বেশী হবে না ছবি স্ক্যান করা অথবা ডিজিটাল ক্যামেরায় তােলা হতে হবে।

এরপরে 300 x 80 pixel মাপের স্ক্যান করা নিজের একটি স্বাক্ষর jpg. যেমন- কাগজে গাঢ় করে স্বাক্ষর করে তারপর স্ক্যান করতে হবে। ফাইলের সাইজ 60 KB এর বেশী হবে না।

ছবি ও স্বাক্ষর প্রয়ােজনীয় মাপে তৈরি করা ও মিলিয়ে দেখার জন্য ভর্তির আবেদনের ওয়েব সাইটের Home Page এ একটি Link দেয়া থাকবে।

ছবি ও স্বাক্ষর, যে কম্পিউটার থেকে Website-এ ঢুকবেন অথবা Pendrive-এ পূর্ব থেকে সংরক্ষণ করতে হবে।

ইংরেজিতে নিজের জেলা, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা লিখিত ভাবে নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও ভর্তিচ্ছু মেডিকেল কলেজ সমূহের নাম, নিজের পছন্দের ক্রমানুসারে সাজিয়ে লিখে রাখলে ভালো হবে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য অজ্ঞিদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। কারণ পছন্দক্রম একবার দেয়ার পর আর পরিবর্তন করা যাবে না।

কলেজ কোডগুলাে জানা থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচনে সারণি-১ প্রয়ােজন হবে।

উপরােক্ত তথ্যগুলি ও সাথে এই নিয়মাবলির একটি কপি প্রস্তুত থাকলে http://dgme.teletalk.com.bd ক্লিক করতে হবে।

মেডিকেল ভর্তির অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করা নিয়ম:

প্রথমে ভর্তির নিয়মাবলির একটি লিংক দেখা যাবে, সেখানে ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ে নিতে হবে। পড়া শেষ হলে আগের পৃষ্ঠায় ফেরৎ আসতে হবে।

এখানে দুটি অপশন আছে। যারা এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশ করেছে তাদের জন্য একটি, অপরটি যারা ০LevelA-Level বা বিদেশ থেকে পাশ করেছে তাদের জন্য।

দ্বিতীয় ধরনের প্রার্থীদের পরিচালক, চিকিত্সা শিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী এর কাছ থেকে আবেদনপত্র পূরণের পূর্বেই Equivalent Certificate ID সংগ্রহ করতে হবে।

ID ছাড়া ভর্তি আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে না। প্রথম অপশনে ক্লিক করতে হবে। পৃষ্ঠার নিচে Next হাইলাইট হবে এবং সেটাতে ক্লিক করতে হবে।

দ্বিতীয় পৃষ্ঠা আসবে। এখানে এসএসসি/সমমান, এইচএসসি/সমমান ইত্যাদির Roll Number, Registration Number, Board, Year পূরণ করতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষার প্রার্থীর উপজাতীয় কোটায় সুযােগ থাকলে Tribal applicant or a non-tribal applicant from Hilltract’s লেখা অপশনে ক্লিক করতে হবে।

এখানে ক্লিক না করলে পরের পৃষ্ঠায় উপজাতি সংশ্লিষ্ট অপশনের সুযােগ থাকবে না এবং উপজাতীয় কোটায় নির্ধারিত GPA ৮.০০ কার্যকরী হবে না।

মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষাতে উপজাতি কোটার ক্ষেত্রে করনীয়:

উপজাতি/পার্বত্য জেলার অ-উপজাতি কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের উপজাতিপার্বত্য জেলার অ-উপজাতি সনদের স্মারক নম্বর/সনদ নম্বর ও তারিখ অনলাইন আবেদনে এন্ট্রি করতে হবে।

স্মারক নম্বর/সনদের নম্বর ও তারিখ ছাড়া উপজাতি/পার্বত্য জেলার অ-উপজাতি কোটায় অনলাইনে এন্ট্রি হবে না।

কোটায় ভর্তির সুযােগ পেলে ভর্তির সময় প্রয়ােজনীয় কাগজ দেখাতে না পারলে ভর্তির সুযােগ বাতিল হয়ে যাবে।

এখানে কোন কিছু ভুল হলে Reset ক্লিক করে আবার পূরণ করতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ হলে Next ক্লিক করে পরের পৃষ্ঠায় যেতে হবে।

এ পৃষ্ঠার উপরের অংশে প্রার্থীর নাম, পিতা-মাতার নাম; জন্ম তারিখ এবং পৃষ্ঠার মাঝামাঝি পরীক্ষায় প্রাপ্ত লেটার গ্রেভসমূহ এবং গ্রেড পয়েন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে! (O/A level প্রার্থীরা অপশনে গিয়ে নিজে পূরণ করতে হবে)।

পরীক্ষার সময় ইংরেজি প্রশ্নের প্রয়ােজন হলে এখানে Question Language ইংরেজি অপশন পূরণ করতে হবে।

Home District পূরণ করতে হবে। পূরণকৃত জেলার কোটায় মেডিকেল ভর্তির আসন বরাদ্দ পেলে ভর্তির জন্য সময় সে জেলার সার্টিফিকেট দেখাতে না পারলে বরাদ্দকৃত আসন বাতিল হয়ে যাবে।

পূর্বের পৃষ্ঠায় Tribal Quota এ ক্লিক করে থাকলে, এখানে Tribal Quota লিস্ট থেকে একটি নির্বাচন করতে হবে।

মুক্তিযােদ্ধা কোটার সন্তান, সন্তানদের সন্তান ইত্যাদির দাবিদার হলে এখানে Eligible for Freedom Fighter Quota ক্লিক করতে হবে।

মেডিকেল ভর্তির মুক্তিযোদ্ধা ও কোটায় আবেদনের নিয়ম:

মুক্তিযােদ্ধা কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের মুক্তিযােদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ৪৮.০০.০০০০.০০৩.২৫.০১৯.২০.৮৭৫ প্রকাশিত পরিপত্র অনুযায়ী স্বীকৃত তালিকা/গেজেটের নম্বর অনলাইন আবেদনে এন্ট্রি করতে হবে।

তবে চূড়ান্তভাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্বাচিত মেডিকেল কলেজে ভর্তির সময় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত পরিপত্র অনুযায়ী মুক্তিযােদ্ধা কোটায় অন্তর্ভুক্তির যথাযথ প্রমাণাদি দাখিল করতে হবে।

প্রমাণক ভুল প্রমাণিত হলে মেডিকেল কলেজে ভর্তির যােগ্য বিবেচিত হবে না। ভুল করে এই মুক্তিযােদ্ধা কোটা অপশন দেয়ার পর মেধা কোটায় আসন পেলেও ভর্তি বাতিল হবে।

মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম পূরনের শেষ ধাপ সমূহ:

এরপর Present Address এবং Permanent Address পূরণ করতে হবে। Present Address ও Permanent Address এক হলে Permanent Address এর সামনের বাটনে ক্লিক করলেই চলবে।

১১ ডিজিটের একটি মােবাইল নম্বর বাধ্যতামূলক যা ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালিন সার্বক্ষণিক অবশ্যই চালু রাখতে হবে। কারণ এটাতে মেজেস করে অ্যাডমিট, রেজাল্ট সহ বিভিন্ন তথ্য জানানো হবে।

টাকা জমা দেওয়ার পর এই মােবাইলে USER ID, PASSWORD ও পরীক্ষার কেন্দ্রের নাম SMS এর মাধ্যমে আসবে।

প্রয়ােজনে যােগাযােগের জন্য দ্বিতীয় ঘরে আরেকটি মােবাইল নম্বর দিতে পারেন। এরপর Choice Option পূরণ করতে হবে।

মেডিকেল কলেজ ভর্তির চয়েজ ফর্ম পূরন করা নিয়ম:

বাম পাশের কলেজের লিস্ট থেকে আপনার পছন্দের মেডিকেল কলেজকে হাইলাইট করে Add বাটন ক্লিক করলে সেটা ডানদিকে চলে যাবে।

এভাবে এক এক করে নিজের পছন্দের ক্রমানুসারে কলেজগুলােকে ডানদিকে নিতে হবে। তাহলে ডান পাশের লিস্ট হবে পছন্দক্রম।

কলেজ পছন্দের তালিকায় কমসংখ্যক কলেজের নাম নির্বাচন করা হলে মেধা তালিকায় নির্বাচিত হলেও অপেক্ষমান তালিকায় নাম চলে যেতে পারে এবং আসন না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই, আমি আপনাকে সর্বচ্চো সংখ্যক কলেজের নাম নির্বাচন করার পরমির্শ দিব। এবার; পূর্ব থেকে তৈরি করে রাখা ছবি ও স্বাক্ষর কম্পিউটার থেকে অথবা পেনড্রাইভ থেকে ব্রাউজ করে সিলেক্ট করতে হবে।

ভ্যালিডেশন Code যেভাবে দেওয়া আছে সেভাবে টাইপ করতে হবে। পৃষ্ঠার শেষে Declaration বাটনে ক্লিক করে Submit ক্লিক করতে হবে।

মেডিকেল ভর্তির জন্য ছবি ও সাক্ষর আপলোডের নিয়ম:

পরে, কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই আপনার ছবি ও স্বাক্ষর আপলােড হবে এবং পরের পৃষ্ঠা দেখা যাবে।

আর আপনার আপলোড করা ছবি ও স্বাক্ষর সাইজ মত না হলে আপলােড হবে না। ছবি ও স্বাক্ষর সাইজ মত করার অপশন অনলাইনে রয়েছে।

এখন এই পৃষ্ঠায় একটি User ID নম্বর দেখা যাবে। এই নম্বর যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করতে হবে; কারণ এটা দিয়ে টেলিটক প্রি-পেইড নম্বর থেকেআবেদনপত্রের ফি জমা দিতে হবে।

আবেদনকারীর ছবি ও স্বাক্ষরসহ সকল তথ্য দেখা যাবে। এই পৃষ্ঠা অবশ্যই প্রিন্ট করে রাখতে হবে। কেননা; এই ছবি ও স্বাক্ষরেই তিনি সর্বত্র পরিচিত হবেন।

এই পেজে যদি কোন ভুল তথ্য দেখা যায় অথবা ছবি বা স্বাক্ষর ভুল হয়; তবে, সঠিক ছবি/স্বাক্ষর বা তথ্য যােগ করে নতুনভাবে ফরম পূরণ করতে হবে।

একবার টাকা জমা দিলে এর পর ছবি বা স্বাক্ষর পরিবর্তনের সুযােগ নেই। কারিগরি সহায়তার জন্য যে কোন টেলিটক নম্বর হতে ১২১ অথবা অন্য যে কোন অপারেটর থেকে ০১৫০০১২১১২১ নম্বরে এ রাত দিন ২৪ ঘন্টা কল করা যাবে।

টেলিটক প্রি-পেইড নম্বরের মাধ্যমে ফি জমা দেয়ার পর User ID এবং Password পাওয়া যাবে, যা উভয় মােবাইল নম্বরে আসবে।

আবেদনপত্র পূরণের সময় স্টার চিহ্নিত মােবাইল নম্বরটি যে কোন অপারেটরের মােবাইল হতে পারে।

User ID ও Password দিয়ে ৬-৩-২০২৩ তারিখ থেকে ৭-৩-২০২৩ তারিখের মধ্যে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলােড করতে হবে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে টাকা জমা দেয়ার নিয়ম:

টাকা জমা দেয়ার জন্য সচল টেলিটক প্রি-পেইড মােবাইল ফোনের Message অপশনে গিয়ে MBBS লিখে, স্পেস দিয়ে User ID লিখে 16222 নম্বরে SMS প্রেরণ করতে হবে।

উদাহরণ: MBBS<Space>FRLGCT টাইপ করে Send করুন 16222 নম্বরে।

এখানে FRLGCT হলাে ফরম পূরণ করে পাওয়া User ID ফিরতি SMS-এ একটি PIN, প্রার্থীর নাম।

পরীক্ষার ফি হিসেবে ১ হাজার টাকা কেটে রাখার তথ্য দিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। সম্মতি দেয়ার জন্য নিম্নোক্তভাবে 16222 নম্বরে SMS পাঠাতে হবে।

Message অপশনে গিয়ে MBBS লিখে, স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে PIN লিখে স্পেস দিয়ে পছন্দের সর্বোচ্চ চারটি Centre Code কমা (,) দিয়ে লিখে 16222 নম্বরে SMS প্রেরণ করতে হবে।

উদাহরণ হলোঃ MBBS<Space>YES<Space> 456789<Space> 19,38,47,26 টাইপ করে Send করুন 16222 নম্বরে।

এখানে 456789 হলাে আগের ফিরতি SMS এ পাওয়া PIN Number এবং 19,38,4726 নম্বরগুলাে হলাে পরীক্ষা কেন্দ্রের কোড নম্বর।

আপনার পিন ও কোড আলাদা হবে হয়তো। তাই, PIN নম্বরটি সঠিক ভাবে লেখা হলে উক্ত টেলিটকের প্রি-পেইড মােবাইল থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ হাজার টাকা কেটে রাখা হবে।

পরে প্রার্থীকে ফিরতি SMS-এ পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম জানিয়ে একটি User ID ও Password দেওয়া হবে।

প্রবেশপত্র ওয়েব সাইটে দেওয়ার বিষয়টি SMS-এ জানানাে হবে। প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে পুনরায় একই প্রক্রিয়ায় প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা যাবে।

পরীক্ষার ফলাফল প্রার্থীর মােবাইলে SMS এবং DGME এর ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd এবং DGHS-এর ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd এর মাধ্যমে জানানাে হবে।

Download করা প্রবেশ পত্র এবং HSC পরীক্ষার Registration ফরম পরীক্ষার হলে অবশ্যই নিয়ে আসতে হবে।

উপরে ২০২৪ সালের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি pdf আকারে দেয়া আছে। সেটা ভালো করে পরে, আবেদন ফর্ম পূরন করবেন।

ভর্তি পরিক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর:

মেডিকেলে সেকেন্ড টাইম পরিক্ষার দেয়া যাবে ?

হ্যাঁ

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কত নম্বরের প্রশ্ন থাকে?

১০০ নম্বরের।

কত টি প্রশ্ন থাকে?

১০০ টি।

মেডিকেল কলেজে মোট সিট কতটি?

৫৩৮০ টি

মেডিকেলে পরিক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে?

SSC ও HSC মিলিয়ে মোট ৯ পয়েন্ট।

মেডিকেলে ভর্তিতে গণিত থেকে প্রশ্ন হয় ?

না।

ইংরেজি থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন থাকে?

১৫ নম্বরের ১৫ টি প্রশ্ন থাকে।

সাধারণ জ্ঞান থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন থাকে?

১০

জীব বিজ্ঞান থেকে কতি টি প্রশ্ন থাকে?

৩০ টি

রসায়ন থেকে ?

২৫ টি

পদার্থ থেকে কতটি প্রশ্ন থাকে ?

২০ টি

মেডিকেল ভর্তির পরিক্ষাতে রেজাল্টের উপর কত নম্বর?

২০০ নম্বর। (৭৫+১২৫)

4 thoughts on “মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ PDF সহ”

  1. আমার মেডিকেল এর কেন্দ্র অনেক দূরে । আমি কিভাবে কেন্দ্র পরিবর্তন করব?

    Reply
    • আবেদন করা ও টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে তো আর কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না। তবুও আপনি তাদের হেল্প নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।

      Reply
  2. যদি কোন শিক্ষার্থী O M R সিটে বৃত্ত ভরাট করতে যেয়ে একটি বৃত্ত অন্য সংখ্যার উপর ভরাট করে ফেলে , সেক্ষেত্রে কী হবে ,জানালে উপকৃত হবো।

    Reply

Leave a Comment