বিশ্ব সভ্যতা কাকে বলে (বিশ্ব সভ্যতার সংজ্ঞা)

সভ্যতা ও সংস্কৃতির কি ও কাকে বলে আমরা আগের পোষ্টে জেনেছি। আজ আমরা বিশ্ব সভ্যতা কাকে বলে তা বিস্তারিত জানব।

সভ্যতার যে ধারণা পাওয়া যায় তাতে করে অঞ্চলভেদে এর বেশ বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে এটা বিবেচনা করে ঐতিহাসিকগণ সভ্যতা ও সংস্কৃতির সমন্বয় করতে যেয়ে বিশ্ব সভ্যতার ধারণা দিতে সক্ষম হন।

আমাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে গড়ে উঠা সভ্যতা ও সংস্কৃতি পরস্পরের উপর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে আমাদের জীবন প্রক্রিয়ায় একটি নতুন ধারার জন্ম দেয় যাকে আমরা বিশ্ব সভ্যতা বলতে পারি।

বিশ্ব সভ্যতা কাকে বলে এর পরিষ্কার ধারণা:

মানব জাতির ক্রমাগত প্রচেষ্টা ও কর্মধারার ফল হিসেবেই বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো! বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও অবস্থানগত পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাবে তাদের জীবনধারা ও চিন্তার ক্ষেত্রে নয়ন ঘটিয়েছে।

এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সভ্যতার ধারক হিসেবে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় মতাদর্শ, রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক প্রথা ও আচরণ, ঐতিহ্য এবং অর্থনৈতিক কাঠামাে সমূহ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সভ্যতা সমূহের এসব বিকাশমান উপাত্তের দিকে দৃষ্টি দিয়ে ঐতিহাসিকগণ কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন।

যেমন মানবজাতির উৎস হলো কোথায়? তাদের মূল লক্ষ্য কি ছিলো? এবং বিশ্বের নিকট তারা কি রেখে যেতে চায়? এ প্রশ্নসমূহের নিষ্পত্তির মধ্য দিয়েই ঐতিহাসিকগণ পৃথিবীতে মানুষের ভবিষ্যৎ পরিক্রমা সম্পর্কে মন্তব্য রাখেন।

যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন সভ্যতায় চিন্তাবিদ, বিজ্ঞানী, ধর্মীয় নেতাগণ মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক জীবনধারার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। মানুষের দৈহিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

ফলে প্রাচীন ও মধ্যযুগে যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে।

বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রয়ােজনে এ যােগাযােগ তরান্বিত হয়।

ফলে উন্নততর সভ্যতার সংস্পর্শে নবীন ও অনুজ্জ্বল সভ্যতাগুলাে দীপ্তিময় হয়ে উঠে।

উন্নত চিন্তাভাবনা ও কলাকৌশল আয়ত্ত করে বিভিন্ন সভ্যতা নিজেদের উন্নততর করে তােলে।

আর সেই ফসল আধুনিক সময় পর্যন্ত আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে তুলেছে।

অন্য কোন সভ্যতা থেকে গ্রহণ করে শুধু আত্মাে উন্নয়ন নয় পাশাপাশি যে কোন সভ্যতার জনগােষ্ঠীর বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট মােকাবিলায় একটি সভ্যতা তার শক্তি নিয়ােগ করে।

এ ধারণা থেকেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় বিশ্ব সভ্যতার প্রকৃত ধারণা।

বিশ্ব সভ্যতার ধারণাটি আরাে স্পষ্ট করতে চাইলে বিভিন্ন সভ্যতার জনগণের সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক জীবন ব্যবস্থার অগ্রগতির কাঠামাে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়ােজন।

এতে করে বিভিন্ন সভ্যতা মানুষের জীবনযাত্রাকে সুখী ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য কি ভূমিকা রেখেছিল তার একটি তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যায়।

Leave a Comment