নামাজ মাকরুহ হওয়ার ৪৭টি কারণ আপনাকে জানতেই হবে

আসসালামুআলাইকুম। প্রিয় পাঠক আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। নামাজ আমাদের শ্রেষ্ঠ ইবাদাত। কিন্তু আমাদের অসতর্কতা বা অজানা কারণে নামাজ মাকরুহ হয়। তাই আজ আমরা নামাজ মাকরুহ হওয়ার ৪৭টি কারণ জেনে নিব।

আশা করি, এই ৪৭টি কারন জানা থাকলে আপনার নামাজ আর মাকরুহ হবে না ইনশাআল্লাহ।

নামাজ মাকরুহ হওয়ার কারণ (০১ থেকে ১০)

১। পেশাব পায়খানার চাপ অনুভব করার পর তা নিয়ে নামাজ আদায় করলে নামায মাকরুহ হবে।
২। নামাজের মধ্যে শরীরের কাপড় বা অন্য কোন জিনিস নাড়াচাড়া করলে নামাজ মাকরুহ হবে।
৩। দাঁড়িয়ে অহেতুক হাত লাগানো বা ধূলা ইত্যাদি পরিষ্কার করা।
৪। ধুলাবালি হতে কাপড় পরিষ্কার রাখার জন্য সতর্কতার সাথে নামাজের রুকুন আদায় করা।
৫। নামাজে নিম্ন মানের পোশাক পরিধান করা। যে পোশাক পরে সাধারণত কোনো মজলিস বা অনুষ্ঠানে যেতে পছন্দ করে না।

সহীহ নামাজ শিক্ষার pdf বই ফ্রি ডাউনলোড করুন..

৬। নামাজের মধ্যে কনুই পর্যন্ত খোলা রাখা।
৭। নামাজের মধ্যে পুরুষের মাথার চুল বেঁধে রাখা।
৮। নামাজের মধ্যে আঙ্গুল ফোটানো।
৯। নামাজের মধ্যে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে নামাজ মাকরুহ হবে।
১০। নামাজের মধ্যে ঘাঁড় ফিরিয়ে তাকানো। যদি ঘাড় কাবার দিক হতে ঘুরে যায় তবে নামাজ ভেঙে যাবে।

মাকরুহ হওয়ার কারন (১১ থেকে ২০)

১১। নামাজের মধ্যে বিনা কারণে চোখ বাঁকিয়ে তাকানো।
১২। মহিলাদের উভয় পা খাড়া করে বসা।
১৩। শুধু কপাল মাটিতে ঠেকিয়ে সিজদা করা।
১৪। সিজদার মধ্যে পুরুষের উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাটিতে বিছিয়ে রাখা।
১৫। এক তাসবীহ পরিমাণ পা মাটিতে রাখার পর বিনা কারণে এক পা উঠিয়ে রাখা; বা সেজদার মধ্যে দুই পা উপরে উঠিয়ে রাখা।

১৬। হাত বা পায়ের আংগুল সমূহ কিবলার দিক হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখা।
১৭। নামাজের মধ্যে ইচ্ছাকৃত হাই তোলা।
১৮। চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া।
১৯। বিনা কারণে নামাজের মধ্যে থুতু ফেলা।
২০। হাত কিংবা মাথার ইশারায় সালামের জবাব দেওয়া।

নামাজ মাকরুহ কারন (২১ থেকে ৩০)

২১। রুকুর মধ্যে হাঁটুতে হাত না রাখলে নামাজ মাহরুহ হবে।
২২। উভয় সেজদার মাঝের বৈঠকে বা প্রথম বৈঠক বা শেষ বৈঠকে উরুর উপর হাত না রাখা।
২৩। নামাজের মধ্যে ইচ্ছাকৃত সুন্নতের খেলাফ কাজ করা এবং অহেতুক নামাজের মধ্যে মশা, পিঁপড়া বা উকুন মারা।
২৪। পয়সা বা এই জাতীয় কোন কিছু মুখের ভেতর রেখে নামাজ পড়া।
২৫। নামাজের মধ্যে ইচ্ছা করে গন্ধ বা ঘ্রাণ নেয়া।

২৬। পরিধান করা পোশাক বা পাখা দিয়ে বাতাস করা।
২৭। মুখমন্ডল ঢেকে রেখে নামাজ আদায় করলে সালাত মাকরুহ হবে।
২৮। নিজের পরিধান করা কাপড় বা চাদর এমন ভাবে জড়িয়ে নামাজ আদায় করা যেন তা থেকে হাত বের করতে অনেক কষ্ট হয়।
২৮। পাগড়ির উপর সেজদা করলে নামাজ মাকরুহ হবে।
২৯। জামা ব্যবহার করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও শুধু লুঙ্গি বা পায়জামা পরিধান করে নামাজ পড়া।
৩০। দুই কাঁধে চাদর বা কাপর পেঁচিয়ে নামাজ আদায় করা।

নামাজ মাকরুহ হওয়ার কারণ (৩১ থেকে ৪০)

৩১। প্রাণীর ছবি যুক্ত পোশাক পরে নামাজ আদায় করা।
৩২। লোভনীয় খাবার মজুদ রেখে নামাজ আদায় করা।
৩৩। জলন্ত আগুন সামনে রেখে নামাজ আদায় করা।
৩৪। যে জায়গায় নামাজ আদায় করলে নামাজের ভিতরে অন্য মনস্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেখানে নামায পড়া।

৩৫। কারো যায়গায় তার অখুসি বা বাধা সত্ত্বেও নামাজ আদায় করা।
৩৬। নাপাক স্থানের পাশে দাড়িয়ে নামাজ পড়া।
৩৭। বায়তুল শরীফের ছাদে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা।
৩৮। বিনা কারণে উঁচু বা নিচু জায়গায় সেজদা করা।
৩৯। বিনা কারণে নামাজে কোন কিছুর সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা।
৪০। সামনের কাতারে জায়গা থাকার পরও পিছনের কাতারে দাঁড়িয়ে একা একা নামাজ পড়া।

মাকরুহ হওয়ার কারন (৪১ থেকে ৪৭)

৪১। রুকু সিজদা সহ নামাজের কোনো আমলে মুক্তাদী ইমামের আগে চলে গেলে তা মাকরুহ তাহরীমী হবে।
৪২। নামাজের মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে সুরা আয়াত বা তাসবিহ গণনা করা যাবেনা। এতে মাকরুহ হবে।
৪৩। প্রথম রাকাতের চেয়ে দ্বিতীয় রাকাত লম্বা করা।
৪৪। ফরজ নামাজের একই রাকাতে কোন সূরা বা আয়াত বার বার পাঠ করা।

৪৫। কিয়ামের হালতে সূরা শেষ না করে, রুকুতে গিয়ে ও তার কিছু অংশ তেলাওয়াত করা।
৪৬। কোনো রাকাতের জন্য কোনো সূরাকে এমন ভাবে নির্দিষ্ট করা, যে কেউ উক্ত সূরা ছাড়া নামাজ আদায় করে না।
৪৭। ফরজ নামাজে কুরআনের ধারাবাহিক নিয়ম বজায় না রেখেই কেরাত পড়া।

Leave a Comment