প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের লেখা- কেউ কেউ কথা রাখে নামক একটি বই নিয়ে আলোচনা ও রিভিউ করবো।
চলুন প্রথমে বই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক:
বইয়ের নামঃ কেউ কেউ কথা রাখে
লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান: বাতিঘর প্রকাশনী ।
ধরন: রিভেঞ্জ থ্রিলার
প্রকাশকাল: ২০১৬
কেউ কেউ কথা রাখে বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপঃ
কিছু সময় থাকে শুধুই স্বপ্নভঙ্গের । মিনহাজ ও হায়দার চৌধুরীদের এমন স্বপ্নভঙ্গের একটি সময় ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে খুন হয় মিলি নামের নব বিবাহিতা একটি মেয়ে।
আরএই খুনের তদন্তের দায়িত্ব পড়ে এই গল্পের লেখক এবং তার উর্ধ্বতন এস এম হায়দারের ওপর যারা সে সময় পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার পর মিলির স্বামী মিনহাজ আহমেদ পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। সে হায়দার সাহেবের কাছে তার স্ত্রীর হত্যাকারীর বিচার চায়।
হায়দার সাহেব তাকে কথা দেয় সে তার স্ত্রীর হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে।
অনেক বাধা বিপত্তির পরে লেখক এবং এস এম হায়দার খুনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও ক্ষমতাবানদের বেড়াজালে তার বিচার সম্ভব হয়ে উঠে না।
হায়দার চৌধুরী তার কথা রাখতে ব্যর্থ হন। শেষে মিনহাজ নিজেই শপথ করে সে তার স্ত্রীর হত্যাকারীর বিচার করবে।
আসলেই কি মিনহাজ তার কথা রেখেছিল? নাকি সেও ব্যর্থ হয়েছিল?
আমার মতামত:
এটি লেখকের পুরোপুরি নিরীক্ষাধর্মী একটি কাজ। বইটি পুরোপুরি মৌলিকও নয় আবার পুরোপুরি অনুবাদ ও নয়।
আর্জেন্টাইন ঔপোন্যাসিক এদুয়ার্দো সাচেরির la pregunta de sus ojos উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত। এই বই নিয়ে একটি সিনেমাও রয়েছে। যার নাম The Secret In their eyes
সিনেমা ও আর্জেনটাইন উপন্যাসের সাথে ভাবগত মিল থাকলেও এই উপন্যাসের সময়কাল এবং কাহিনীর ধরণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। বইটি অন্যান্য থ্রিলার বইয়ের মত নয়।
এর ধরণ কিছুটা ভিন্ন। লেখকের বর্ণনাও ছিল অনেক গতিশীল। লেখক বইটিতে স্বাধীনতা যুদ্ধর কিছু পরের সময়কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন আর সেক্ষেত্রে তিনি পুরোপুরি সফল।
আর বইয়ে রামজীয়া শেহরিন এবং লেখকের কিছু সময়ের কথা নাই বা বললাম। বইয়ে সবচেয়ে খারাপ দিক হক এর বানান। বইয়ে প্রচুর বানান ভুল।
এই সাইটে রিভিউটি লিখেছেন-
মুন্না হাসান
ঢাকা
FAQ:
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
বাতিঘর প্রকাশনী
রিভেঞ্জ থ্রিলার।