করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু উপায় মেনে চলতেই হবে। কারন বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে করোনা ভাইরাস।
ইতিমধ্যে মারাও গেছে বহু সংখ্যাক মানুষ। আমাদের দেশের মতো ঘন বসতি পূর্ণ দেশে করোনা আরো আতঙ্কের একটি বিষয়।
কারন আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষকেই কাজের তাগিদে ঘরের বাহিরে যেতে হয় প্রতি দিনই।
চলুন দেখে নেয় যাক করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে আমরা কি কি উপায় অবলম্বন করবো। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য ১০ টি সেরা উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।
১। বারবার হাত ধুতে হবে:
খাওয়ার আগে পরে, কোনো কাজ করার পরে, বাহিরে থেকে এসেই কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে সাবান অথবা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
কারণ গবেষনার মাধ্যমে এ কথা প্রমান হয়ে গেছে যে বার বার সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুলে করোনা ভাইরাস হাত থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
বিশেষ করে অসুস্থ্য ব্যক্তির সেবা করার পরে, হাতে ময়লা লাগলে, হাঁচি-কাশি দেয়ার পরে, টয়লেট থেকে ফিরে, পশু-পাখিকে স্পর্শ বা আদর করার পরে গবেষকরা হাত ধুয়ে নিতে বলেছেন।
সুতরাং করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হাত ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই।
- আরো পড়ুন:
২। দূরে থাকার চেষ্টা করুন:
মনে রাখবেন রোগ কারো বন্ধু নয়। রোগী আপনার বন্ধু হতে পারে কিন্তু রোগ নয়।
তাই করোনা থেকে বাঁচতে যে কোনো প্রকার সর্দি, কাশি, জ্বর, অথবা অসুস্থ্য মানুষের কাছে থেকে ৩ ফুট দূরে থাকুন।
এর কারন করোনার বৈশিষ্ট্যই হলো দ্রুত এক জনের কাছে থেকে অপরের কাছে ছড়ানো।
তাই আপনার আশেপাশে যারা কাশছেন তাদের নিকট থেকে দূরে থাকুন। অসুস্থ্য পশুপাখি থেকেও দূরে থাকুন।
৩। নিজের নাক,মুখ,চোখ বারবার ধরবেন না:
আমরা সারা দিন কতো কাজ করি, কতো জিনিস হাত দিয়ে ধরি। আবার সেই হাত দিয়ে মনের অজান্তে নিজেদের চোখ, মুখ, নাক, স্পর্শ করি।
এর থেকেও করোনা ছড়াতে পারে। তাই করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে কখনোই ময়লা বা অপরিষ্কার হাতে নিজেদের মুখ, চোখ, নাক ধরবেন না।
৪। কাশি দেয়ার নিয়ম মেনে চলুন:
নিজেরা যখন কাশি দিবেন তখন অবশ্যই মুখে পরিষ্কার রুমাল অথবা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে নিবেন। নিজে তো এই নিয়ম মানবেনই সাথে অন্যকেউ কাশি দেয়ার আগে রুমাল ব্যবহার করতে বলবেন।
কাশি, হাচি, দেয়ার সময় যে যে রুমাল, কাপড় বা টিস্যু কাগজ ব্যবহার করবেন তা অবশ্যই ঠিকভাবে ব্যবহারের পরে তা ঠিক জায়গায় ফেলুন।
৫। সব সময় ঘরে থাকুন:
অসুস্থ হোন বা না হোন বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করেছেন করোনা গবেষক দল। কেননা বাহিরে গেলে আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে আশার সম্ভাবনা থাকে। এভাবেই করোনা ছড়ায় বেশি।
৬। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য খাবার প্রস্তুত করতে সতর্ক হোন:
খাবার রান্না করার সময় অথবা রান্না করার পরে অবশ্যই কাঁচা খাবার থেকে রান্না করা খাবার দূরে রাখতে হবে।
কাঁচা খাবার যে পাত্রে রাখবেন সে পাত্রটি ভালো ভাবে ধুয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করবেন।
কারন কাঁচা মাছ, মাংস তে করোনা ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই বিশেষ সতর্ক হোন। সর্বদা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৭। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য ভ্রমণে সাবাধান হোন:
খুব প্রয়োজন না হলে বিদেশ যাবেন না। যেমন বেড়াতে, বা আত্মীয়র সাথে সাক্ষাৎ করতে বিদেশ যবেন না।
মনে রাখবেন আমাদের দেশের বহিরেই করোনা রোগের আক্রমণ সংখ্যা বেশি।
তাই বিদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে এবং বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে সকলকে নিরউৎসাহিত করুন।
৮। জন সমাবেশ ও অনুষ্ঠান বা অভ্যর্থনা পরিহার:
আমাদের দেশে সারা বছর মিটিং, মিছিল সভা সমাবেশ লেগেই থাকে।
তাই করোনা ভাইরাস যত দিন নির্মূল না হয় তত দিন নিজ নিজ দ্বায়িত্বে সবাই সকল প্রকার সভা-সমাবেশ এড়িয়ে চলুন।
৯। সমস্যা হলে স্বাথ্যকর্মীর সাহায্য নিন:
এ সময় যে কোন অসুখ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাথ্যকর্মীর সহযোগিতা নিন।
করোনার লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে স্বাথ্যকর্মীর সাহায্য নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
আপনার অথবা আপনার নিকটস্থ কারো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষন দেখা দিলে সাথে সাথে আইইডিসিআরের নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
১০। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য গুজবে কান দিবেন না:
দুঃখ জনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশে রোগের চাইতে ১০০ গুন দ্রুত গুজব ছড়ায়! তাই কোনো প্রকার গুজবে কান দিবেন না।
যেমন গরুর গোবর, গরুর মুত্র, থানকুনি পাতা, রসুন ইত্যাদি করোনা ভাইরাস প্রতিহত করতে পরে না। এগুলো সব গুজব।
FAQ:
চীন।
করোনা হচ্ছে ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ।
জ্বর আসে, কাশি হয়।
সকল বয়সের মানুষের করোনা হতে পারে।