বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসের পার্টে আমাদের আজকে আলোচনার বিষয় হলো প্রাগৈতিহাসিক যুগ। প্রাগৈতিহাসিক যুগ কাকে বলে বিস্তারিত জানব।
আমরা সকলে জানি, মানব সৃষ্টির শুরুতে আমাদের এই পৃথিবী আজকে মতো ছিলো না।
হয়তো পৃথীবির পরিবেশ ছিলো সুন্দর কিন্তু মানুষের জীবন মোটেই সুখকর ছিলো না।
পৃথিবী তার নিজ রুপ বদল করেছে। আর তার সাথে সাথে মানুষের জীবন-যাত্রারও যথেষ্ট পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
যুগের পর যুগ কেটে গেছে, সভ্যতার সৃষ্টি হয়েছে সভ্যতা ধ্বংস হয়েছে আবার নতুন সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। ক্রমে ক্রমে আজকের নতুন সভ্যতার আবির্ভাব হয়েছে।
আর আদি থেকে শুরু করে বর্তমানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাল হলো প্রাগৈতিহাসিক যুগ।
প্রাগৈতিহাসিক যুগ কাকে বলে – সংঙ্গা:
সহজ ভাষায় পাথরের যুগকে আমার প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে পারি।
প্রাগৈতিহাসিক কালে মানুষ ছিলো প্রকৃতির উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল।
যেমন বনে জঙ্গলে, পাহাড়ের গুহায় অথবা বড় গাছের কোটরে তারা বসবাস করতো।
খাদ্য হিসেবে প্রকৃতি থেকে যেমন- গাছের ফলমূল, লতা, পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করতো।
কিন্তু জীবন ধারণের জন্য তারা এক সময় পশু শিকার করা শুরু করে।
যেহেতু তারা শিকার করা শুরু করে, তাই তাদের শিকার করার জন্য হাতিয়ারের প্রয়োজন হয়।
ফলে পাথরের হাতিয়ার তৈরি ও ব্যবহার করা শিখে।
ফলে তারা ক্রমেই পাথরের ব্যবহার করা শিখে যায়। আর এভাবেই তারা পাথরের যুগে প্রবেশ করে।
পাথরের ব্যবহার করার জন্যেই সেই যুগকে পাথরের যুগ বলা হতো। পাথর থেকেই পাথরের যুগের ধারণা এসেছিলো।
এই পাথরের যুগকে আবার ২টি ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
- পুরাতন পাথরের যুগ
- নতুন বা নব্য পাথরের যুগ
আর মজার ব্যাপার হলো এই পুরাতন এবং নতুন পাথরের যুগকে ইতিহাসবিদগণ প্রগৈতিহাসিক যুগ বলেছেন।
প্রফেসর স্টূয়ার্ট পিগ্ট বলেছেন – “ইতিহাসে প্রাগৈতিহাসিক যুগ এবং আদি ঐতিহাসিক যুগের পার্থক্য দূর্বোধ্য।”
তিনি আরো বলেন- মেসোপটেমিয়া, মিশর, প্রভৃতি দেশ সমূহে প্রাগৈতিহাসিক যুগ, খ্রিষ্টপূর্ব ৩ হাজার বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার পরে আদি ঐতিহাসিক যুগ শুরু হয়।
সুতরাং বলা যায়- প্রাচীনকালে মানুষের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা থেকে যেভাবে বিভিন্ন স্তর পর্যায়ক্রমে উপনীত হয় এবং উপনীত হওয়ার পূর্বের সময় কাল হলো প্রাগৈতিহাসিক যুগ।
- আরো পড়ুন- প্রাচীন প্রস্তর যুগ
পাথরের ব্যবহারের যুগ হলো পাথরের যুগ।
২ প্রকার।
পুরাতন ও নব্য পাথরের যুগ।