প্রিয় পাঠক, আশা করি সুস্থ্য রয়েছেন! একদম ফ্রি ও ঝামেলা ছাড়াই নবম দশম শ্রেণির বা এসএসসির বাংলা সহপাঠ বা আনন্দপাঠ বই PDF (পুরাতন বই) download করতে চাইলে, এই পোষ্টে আপনাকে জানাই স্বাগতম।
নবম দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক বিভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সকল pdf বই সহ; আমাদের ৭রং ওয়েব সাইট থেকে সকল শ্রেণির সকল বই ফ্রিতে pdf ফাইল আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন।
বাংলা সহপাঠ সাবজেক্ট পরিচিতি:
বাংলা ১ম পত্র বইয়ের একটি অংশ হলো এই বাংলা সহপাঠ বই! ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণির বাংলা সহপাঠ বই আনন্দপাঠ বই হিসেবে পরিচিত।
নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র বইয়ে, গদ্য ও পদ্য অংশ অন্তর্ভূক্ত এবং এই সহপাঠ বইয়ে নাটক ও উপন্যাস অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
নবম ও দশম শ্রেনির সকল শিক্ষার্থীর জন্য এই বাংলা সহপাঠ বই টি বাধ্যতামূলক! এই সহপাঠ বইতে একটি নাটক ও একটি উপন্যাস রয়েছে।
সুতরাং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সকল সাহিত্য প্রেমীরা এই বাংলা সহপাঠ বই পড়তে পারেন।
তাহলে আর দেড়ি না করে এখুনি, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির এই বাংলা সহপাঠ বই এর pdf নিচে থেকে download করুন।
নবম দশম শ্রেণির বাংলা সহপাঠ বই pdf download করুন:
প্রিয় পাঠক, বাংলা সহপাঠ বই ডাউনলোড করার সুবিধার জন্য বইটির প্রকৃত নাম, প্রকাশ সাল, বাংলা সহপাঠ বই টির এমবি সাইজ, বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে লিস্ট আকারে দেয়া হলো।
এই আনন্দপাঠ বই সম্পর্কিত তথ্য ভালোভাবে দেখে নিন এবং তারপরে দেয়া সবুজ রং এর ডাউনলোড বাটন থেকে নবম দশম শ্রেণির এই আনন্দপাঠ বা সহপাঠ বই ডাউনলোড করে নিন।
এই সহপাঠ বই ডাউনলোড করার জন্য গুগল এবং Google Account ব্যবহার করুন, যাতে করে বইটি ডাউনলোড করতে কোনো প্রকার ঝামেলা না হয়।
নিচে ২০২৩, ২০২২, ২০২১ ও ২০২০ সালের বাংলা সহপাঠ বই দেয়া হলো, সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বইটি ডাউনলোড করুন।
- শ্রেণি: নবম দশম শ্রেণি / এসএসসি
- বইয়ের নাম: বাংলা সহপাঠ নবম দশম
- ইংরেজি উচ্চারণ: Bangla Sohopath Boi
- বইটির প্রকাশক: এনসিটিবি
- মূল্য: বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরনের জন্য
- ফাইল: পিডিএফ
- সাইজ: মাত্র ০৫ এমবি
- পৃষ্ঠা সংখ্যা: মাত্র ৭০ টি
- PDF (পুরাতন বই)
- সর্বশেষ প্রকাশ সাল: ২০২২, ২০২৩
- Pdf লিংক নিচে দেয়া হলো:
*PDF ডাউনলোড করুন*
সহপাঠ বই রিভিউ:
মাত্র ৭০ পৃষ্ঠার এই বাংলা সহপাঠ বইতে ১টি উপন্যাস এবং ১টি নাটক দেয়া হয়েছে! সেলিনা হোসেন রচিত কাকতাড়ুয়া নামক উপন্যাসটি মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্রে রয়েছে বুধা নামের এক অসাধারণ কিশোর! বাপ-মা মরা এই কিশোর যেনো এক অনুতোভয় অদম্য সাহসী যোদ্ধা।
উপন্যাসের নাম কাকতাড়ুয়া হওয়ার কারণ হলো- বুধা। কারণ সে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে রোদে কাকতাড়ুয়া হয়ে থাকতে পারে! কোনো কিছুতে বুধার ভয় নেই।
রাতে সে একা একা খড়ের গাদায়, দোকানের বারান্দায় কিংবা গাছের নিচে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে।
একটা সময় যখন দেশে যুদ্ধ বেধে যায় এবং গ্রামের মানুষ গ্রাম ছেড়ে যেতে থাকে; তখন বুধার অবুজ মন তা মেনে নিতে পারে না।
বুধার মতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ জমতে থাকে। বুধাও সিদ্ধান নেয় সেও যদ্ধ করবে।
ফলে সে গ্রামের রাজাকার চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন দেয় পাক বাহিনীর ক্যাম্পে যায়।
সেখান থেকে খবর এনে মুক্তিবাহিনীর কাছে দেয়! এভাবেই এগিয়ে চলে কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের কাহিনী।
নবম ও দশম শ্রেণির এই বাংলা সহপাঠ বই টিতে বহিপীর নামক একটি নাটক দেয়া হয়েছে।
সেখানে বাংলার সাধারণ মানুষের ধর্মভীতি ও সুসংস্কারকে পুঁজি করে সমাজের মধ্যে ধর্মব্যবসা সহ সুবিধা গ্রহণের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
যেখানে একটি পীরের সাথে তাহিরা নামক একটি অল্প বয়সী মেয়ের সাথে পীরের বিয়ের ঘটনা দেখা যায়।
তবে তাহিরা কখনোই এই অন্যায় মেনে নিতে পারেনি! এভাবেই এগিয়ে চলে বহিপীর নাটকের কাহিনী।